ছয় মাসের বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। তবে হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু আছে।
Advertisement
সোমবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে পিডিবি কর্মীরা মেডিকেল কলেজের মূল প্রশাসনিক ভবন ও মর্গের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। এরপর থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে কলেজের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিবছর সরকার যে বরাদ্দ দেয় সেখান থেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হয়। চলতি বছর বরাদ্দ কম পাওয়ায় ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের কয়েকবার নোটিশ দেয়। কিন্তু বিল পরিশোধ করতে না পারায় আজ কলেজের মূল সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়। এখন জেনারেটরের মাধ্যমে কোনোমতে প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের পুরোনো ভবনে বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ কক্ষই তালা। নতুন ভবনে তৃতীয় তলায় কলেজের অধ্যক্ষের রুমসহ প্রশাসনিক রুমগুলোয় জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চালু রাখা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
রোগীদের ওষুধ নিয়ে যান নার্সরা, চট্টগ্রাম মেডিকেলে দুদকের অভিযান হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরে দালালচক্র, র্যাবের অভিযানে ধরা ৩৮ চট্টগ্রাম মেডিকেলে দুই দালাল গ্রেফতারজানা গেছে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলে ছয় মাসের বিল বাবদ এক কোটি ২৮ লাখ টাকা বকেয়া। এরমধ্যে কলেজের বকেয়া রয়েছে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। তবে হাসপাতালে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাধীন থাকায় বকেয়া থাকলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।
পিডিবির জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. আকবর হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া রয়েছে। এ কারণে কলেজের এক অংশের (একাডেমিক ভবন) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অন্যদিকে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে অবস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয়- সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে প্রায় ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অফিসটি।
Advertisement
এএজেড/জেডএইচ/জেআইএম