ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। সর্বশেষ ঈদের দ্বিতীয় দিন (১৮ জুন) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ইন্টারভিউতে তাকে দেখা যায়।
Advertisement
এরপর বসুন্ধরা, ধানমন্ডিসহ মতিউরের বিভিন্ন বাসভবনে খোঁজ নিয়েও সন্ধান মেলেনি তার। এমনকি কোরবানির ঈদের ছুটির পর অফিস খুললেও তিনি আর এনবিআর কার্যালয়ে আসেননি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর চলে গেছেন।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করতে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে। একইদিন কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া তিনি হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদও।
Advertisement
আরও পড়ুন:
মতিউর, তার স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও সরানো হচ্ছে মতিউরকে এনবিআরের পদ থেকে সরানো হলো মতিউরকেসূত্র জানায়, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারতে চলে গেছেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এরপর মতিউর রহমান ভারত থেকে সরাসরি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে পারেন। প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট তাকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করেছে। আরও জানা যায়, ঈদের পরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়া চলে গেছেন ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাত, তার বোন ইফতিমা রহমান মাধবী ও তার মা শাম্মী আকতার। ইফাত মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান।
অন্যদিকে, মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তার ছেলে দেশে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, লায়লা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। এই পদে গত ২৯ মে ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে সংঘর্ষের কারণে ভোট হয়নি। লায়লা উপজেলা নির্বাচনে এবারও চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ইফাতের ছাগল কেনার বিষয়টি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই তা ‘টক অব দ্য কান্ট্রিতে’ পরিণত হয়। এরপর বেরিয়ে আসে এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের অঢেল অবৈধ সম্পদের খবর।
Advertisement
এসএম/এসএনআর/এএসএম