ভারতের মণিপুর রাজ্যের কিছু এলাকায় মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীর সংখ্যা স্থানীয়দেরও ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় মারিং উপজাতির একটি ছাত্র সংগঠন সম্প্রতি এই দাবি করেছে।
Advertisement
মারিং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এমএসইউ) এক বিবৃতিতে বলেছে, ১ হাজার ৪২৮ জন মিয়ানমারের নাগরিক, যাদের বায়োমেট্রিকস নেওয়া হয়েছে, তারা সীমান্তবর্তী টেংনুপাল জেলার মারিং উপজাতি অধ্যুষিত ছয়টি গ্রামে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন>>
মিয়ানমারে তীব্র সংঘাত/ বাংলাদেশে ঢুকতে পারে আরও রোহিঙ্গা রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের বাসিন্দাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ত্যাগের নির্দেশআশ্রিত মিয়ানমার নাগরিকদের দুর্দশার কথা স্বীকার করে এবং তাদের প্রতি ‘আন্তরিক সহানুভূতি’ রয়েছে জানিয়ে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে, এই গ্রামগুলোতে স্থানীয়দের ছাপিয়ে গেছে মিয়ানমার নাগরিকদের সংখ্যা। এসব মানুষ মূলত শরণার্থী, যারা মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াই থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছেন।
Advertisement
এমএসইউ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছয়টি মারিং নাগা গ্রামে (সাইবোল, মইরেংথেল, চনরিংফাই, লামলং খুনউ, চোক্টং এবং সাতং) মিয়ানমারের নাগরিকদের সংখ্যা স্থানীয় বাসিন্দাদের ছাড়িয়ে গেছে, যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
এমএসইউ’র বিবৃতির মাসখানেক আগেই একই ধরনের অভিযোগ তুলে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন নাগা পিপলস ফ্রন্টের (এনপিএফ) বিধায়ক লেইশিও কিশিং।
গত ৯ মে পাঠানো চিঠিতে তিনি অভিযোগ করেন, তার এলাকার আটটি গ্রামে বসবাসকারী মিয়ানমার নাগরিকদের সংখ্যা স্থানীয়দের চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলেছে। মণিপুরে জাতিগত উত্তেজনার মধ্যে এই পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/
Advertisement