দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে লেবাননভিত্তিক হিজবুল্লাহ সংগঠন। ইসরায়েল সরকার যখন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে ঠিক তখনি হিজবুল্লাহর সামরিক গণমাধ্যম বিভাগ এই ফুটেজ প্রকাশ করলো।
Advertisement
ওই ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, দখলদার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর কাছে নিরাপত্তার দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর স্থানগুলোকে হিজবুল্লাহ চিহ্নিত করেছে।
এসব ফুটেজে যেসব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে নেগেভ মরুভূমিতে অবস্থিত ইসরায়েলের দিমোনা পরমাণু চুল্লি, তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং নেভাতিম বিমানঘাঁটি।
এর বাইরে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে হাকিরিয়া কমপ্লেক্স। সেখানে রয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ এবং অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের আবাসস্থল। এছাড়া রয়েছে রামাত ডেভিড বিমান ঘাঁটি এবং লেবানন উপকূলের কারিশ গ্যাসক্ষেত্রও।
Advertisement
এদিকে রোববার হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। সেখানে অভিযানের নামে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৫০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
আরও পড়ুন: হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ালে ইসরায়েলের চূড়ান্ত পরাজয় হবে: ইরান লোহিত সাগরে পশ্চিমাদের ‘ঘুম হারাম’ করা এই হুথি কারা? লোহিত সাগরে ফের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলাগাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইরান সমর্থিত এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহর সদস্যদের সঙ্গে প্রতিদিনই ইসরায়েলি সেনাদের সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করেছে যে, লেবানন থেকে একটি ড্রোন বেইত হিলেল এলাকায় আঘাত হেনেছে। তবে এই ঘটনায় কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
Advertisement
টিটিএন