অনুমোদন ছাড়া পদক দেওয়ায় বিভাগীয় মামলার মুখোমুখি হয়েছেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব। তিনি হলেন মো. মেহেদী হাসান। দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া একজন নারীকে পদক দেন।
Advertisement
বর্তমানে মেহেদী হাসান বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী ওয়াকফ প্রশাসক হিসেবে কর্মরত।
এদিকে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করায় তিনি বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তবে তাকে সরকারি দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি মামলা থেকে অব্যাহতি এবং মেহেদী হাসানকে এই নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, মেহেদী হাসান দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট থাকার সময় গত বছরের ৪ অক্টোবর এক মতবিনিময় সভায় অনুমতি ছাড়া জেলা প্রশাসনের নাম ব্যবহার করে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রেবা রানী রায়কে ‘ডাক্তার’ উপাধি দিয়ে ‘রত্নগর্ভা মা’ নামীয় ক্রেস্ট দেন। সে সময় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮'’ এর ৩ (খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ’র দায়ে বিভাগীয় মামলা হয়।
শুনানিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বলেন যে, তিনি সরল বিশ্বাসে এবং জনকল্যাণমূলক অভিপ্রায়ে এ কাজ করেছেন। তিনি তার এ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
তদন্তে প্রমাণিত হয়, সরল বিশ্বাসে এবং জনকল্যাণমূলক অভিপ্রায়ে একজন সফল মাকে পদক দিলেও অভিযুক্ত কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেননি।
Advertisement
প্রথমবারের মতো এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া এবং ভবিষ্যতে দায়িত্ব পালনে আরও সতর্কতা অবলম্বনে অঙ্গীকার করায় মেহেদী হাসানকে সরকারি দায়িত্ব পালনে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়ে বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
আরএমএম/জেডএইচ/জিকেএস