তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলে এখন পর্যন্ত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন ৭৫ জনেরও বেশি। শুক্রবার (২১ জুন) দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই তথ্য জানান।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন তুর্কি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোকা। তিনি জানান, দাবানল এখন দিয়ারবাকির ও মারদিন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে ও এতে ১২ জন মারা যাওয়ার পাশাপাশি আরও ৭৮ জন আহত হয়েছেন। পাঁচজনকে নিবিড় পরিচর্যায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নিরানন্দে ঈদ উদযাপন করছে মুসলিম বিশ্ব: এরদোয়ান ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি, তুরস্কে কয়েক ডজন আটক ইরানের পাশে সৌদি-তুরস্ক-রাশিয়াসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশএদিকে, দাবানলে কুর্দি অধ্যুষিত ওই শুষ্ক অঞ্চলজুড়ে দাবানলের আগুনে শত শত প্রাণী মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আগুন সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দিয়ারবাকির এ মারদিন নগরীর মধ্যকার বিশাল এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে।
Advertisement
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি’র প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও দ্রুতই তা পাঁচটি গ্রামের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। শুক্রবার একটি গ্রামের কাছে নতুন করে একটি দাবানল ছড়িয়ে পড়লে, তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন:
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ তুরস্কের ইসরায়েলে পণ্য রপ্তানি করবে না তুরস্কগত সপ্তাহে তুরস্কে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল ও দেশটির বেশিরভাগ অংশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করেছিল। আর এর ফলেই দেশটির বন ও বিভিন্ন এলাকা শুকিয়ে গেছে। অনেকের ধারণা, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও বাতাসের কারণেই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, খড় পোড়ানোর কারণে এই দুর্যোগ দেখা দিয়েছে।
তুরস্কে ফসল কেটে নেওয়ার পর ক্ষেতে থেকে যাওয়া ফসলের অবশিষ্টাংশে ইচ্ছা করেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া এই দাবানল সৃষ্টির জন্য খড় পোড়ানোকেই দায়ী করেছেন। তবে, প্রকৃত কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ