পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পর সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস আজ রোববার (২৩ জুন)। অন্যদিকে, অনেকে ঈদের ছুটি শেষে আজও ঢাকায় ফিরছেন। তবে সড়কে যানবাহনের তেমন একটা চাপ নেই। নগরের দুই-একটা জায়গা বাদে তেমন কোথাও যানজট নেই বললেই চলে। সকাল থেকেই নিজ কর্মস্থলে যেতে অনেকটা স্বস্তিতে কর্মমুখী মানুষ।
Advertisement
রোববার (২৩ জুন) সকাল ৯টায় রাজধানীর মহাখালী, বনানী, গুলশান, তেজগাঁও, বাড্ডা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ ছাড়া মুঠোফোনে ‘ট্রাফিক নিয়্যার মি অন ম্যাপ’ অ্যাপে রাজধানীর তেমন কোথাও যানজট দেখা যায়নি।
শুধু বিজয় সরণি, প্রগতি সরণি, গুলিস্তান, ফকিরাপুল এলাকার সড়কে গাড়ির চাপ দেখা গেছে।
১৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। গত বুধবার (১৯ জুন) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস শুরু হয়। তবে চাকরিজীবীদের অনেকে ঈদ ছুটির সঙ্গে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারও (২০ জুন) ছুটি নেন। ঢাকায় ফিরে আজ রোববার (২৩ জুন) সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অনেকে নিজ কর্মস্থলে যোগ দেন।
Advertisement
সকাল ৯টায় মহাখালীর আমতলীতে মতিঝিলগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শাহাদাৎ হোসেন।
আলাপকালে তিনি বলেন, ঈদের পর আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। ভাবছিলাম সড়কে যানজট বা গাড়ির চাপ থাকবে। কিন্তু এখন দেখি ঢাকায় ঈদের আমেজই কাটেনি।
আরও পড়ুন:
যেসব রাস্তায় যান চলাচল সীমিত থাকবে আজশাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে আলাপ চলার দুই মিনিটের মধ্যেই বলাকা পরিবহনের একটি বাস আসে। এই বাসের এক-তৃতীয়াংশ ফাঁকা ছিল। এই বাসে উঠে গন্তব্যে রওয়ানা দেন তিনি।
Advertisement
বাড্ডা লিংক রোড থেকে আগারগাঁও যাওয়ার জন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এনামুল হক। কয়েক মিনিটের মধ্যে বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে উঠেন তিনি। এর আগে এনামুল বলেন, বাড্ডা থেকে আগারগাঁও বা শ্যামলী যাওয়ার জন্য চার থেকে পাঁচটি কোম্পানির বাস আছে। এখন বাসে উঠলে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে গন্তব্যে যাওয়া সম্ভব হবে।
গাজীপুর থেকে বনানী হয়ে গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে যাত্রী পরিবহন করে আজমিরী পরিবহন। সকাল সাড়ে ৮টায় এই পরিবহনের একটি বাসে ১৪ জন যাত্রী নিয়ে গাজিপুর থেকে সদরঘাট রওয়ানা দেন চালক বোরহান উদ্দিন। তার সঙ্গে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে সিগনালে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। বোরহান বলেন, স্বাভাবিক সময় সকাল সাড়ে ৮টায় গাজিপুর থেকে গাড়ি বের করলে টঙ্গী আসার আগেই বাসের সব আসনে যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু আজ অর্ধেক আসনেও যাত্রী পাইনি। উত্তরা পর্যন্ত বাসের অনেক আসন ফাঁকা ছিল। আবার উত্তরা থেকে বনানী পর্যন্ত সব আসনেই যাত্রী পেয়েছি। হয়তো আগামী সপ্তাহে সড়কে যাত্রী চাপ বাড়বে।
তবে প্রগতি সরণিতে সকাল থেকেই যাত্রীর তুলনায় যানবাহন কিছুটা কম দেখা গেছে। ফলে বাস আসলেই অনেক যাত্রীকে তাড়াহুড়ো করে বাসে উঠতে দেখা গেছে। এ ছাড়া দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হাতিরঝিলে চলাচল করা ওয়াটার ট্যাক্সিতে অনেককে উঠতে দেখা গেছে।
এমএমএ/এসএনআর/এমএস