দেশজুড়ে

সাইনবোর্ডে দায় সারে এলজিইডি

বরগুনার আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ জন নিহতের ঘটনায় তোলপাড় গোটা এলাকা। তবে ব্রিজের মান নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠলেও বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ অবগত করে সেতুর পাশে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল।

Advertisement

সাইনবোর্ডে লেখা ছিল, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, ভারী যানবহন চলাচল নিষেধ। আদেশক্রমে নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, বরগুনা।’

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া-চাওড়া সীমান্তবর্তী চাওড়া হলদিয়া খালের ওপর লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পানিতে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মোট ১২ জন নারী-পুরুষের মধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এলজিইডির সতর্কতা উপক্ষো করে ওই সেতুতে বিভিন্ন ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় বলে দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

Advertisement

বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বরগুনার আমতলীর হলদিয়া হাট সংলগ্ন চাওড়া খালের ওপর নির্মিত ৮৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি উত্তরপাশে ২টি স্প্যান যাত্রীবোঝাই মাইক্রোবাস নিয়ে ধসে পড়ে। আয়রন ব্রিজটি আমতলী বাসস্ট্যান্ড-হলদিয়া হাট ভায়া জুলেখার স্লুইচগেট সড়কের চেইনেজে অবস্থিত। ব্রিজটি হালকা যান চলাচলের জন্য নির্মিত হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্রিজটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় লবণাক্ততার কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। ব্রিজের মাঝখানে আরসিসি ঢালাই ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অনেক আগেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এছাড়া ভেঙে পড়া সেতুর জায়গায় নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হলদিয়া বাজার সংলগ্ন খালের ওপর ২০০৭-২০০৮ সালে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি করা হয়। নির্মাণের পর কোনো সংস্কার না করায় সেতুটি জরাজীর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। লোহার অ্যাঙ্গেল এবং সিমেন্টের ঢালাই খুলে পড়েছে। স্থানীয়রা জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম চলাচল করলেও এলজিইডি কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, নিহতের স্বজনদের হাসপাতালে সমবেদনা জানিয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। ঘটনাস্থলে বিক্ষুদ্ধ মানুষকে শান্ত করেছি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ব্রীজ নির্মাণে অনিয়মের কারণে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।

এফএ/এমএস