জাতীয়

দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে সম্পৃক্ত: কৃষিমন্ত্রী

দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজে সম্পৃক্ত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ঘটেছে। দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিতে সম্পৃক্ত। সত্যিকার অর্থে এ দেশের কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।’

Advertisement

শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর বক্তব্যে এ কথা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এসময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা রূপকল্প ২০০১ সালে যে ডেল্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে জ্ঞাণভিত্তিক সুখি সম্মৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন একটা দেশকে বঙ্গবন্ধু যখন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন, তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নৃশংসভাবে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ চার সহচরকে হত্যা করা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরকম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বিশ্বে আর হয়েছে কি না জানি না। যদিও তাদের অনেকের শাস্তি হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে। যাদের হয়নি তাদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

Advertisement

২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ১১টি বিশেষ অধিকার উল্লেখ করেছি। যার প্রথমটি- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা করা। চতুর্থটি হলো- লাভজনক কৃষির জন্য সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

চলতি বছর ধানের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিকীকরণ ফলে কৃষকদের হার্বেস্টার মেশিন দেওয়ায় একটা ধানও কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলেও নষ্ট হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি কৃষক যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে।

আব্দুস শহীদ বলেন, উন্নয়নের জন্য ঘাটতি বাজেট দেওয়া হয়ে থাকে। সেটা বিদেশি কোনো ফান্ড থেকে পূরণ হয়ে থাকে। এবারে যে ঘাটতি তা জিডিপির ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঘাটতি জিডিপির ৫.৭ শতাংশ ছিল। সব জায়গাতে ঘাটতি থাকে। সেটা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এসব সংস্থা থেকে ফান্ড নিয়ে পূরণ করেই বাজেট বাস্তবায়িত করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, এবারে কৃষি খাতে অনেক টাকা বাজেট দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ খাত, সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারী উন্নয়ন ও শিশু কল্যাণে বাজেটে অধিক টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এলাকার মানুষ সাতবার আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে এখানে পাঠিয়েছেন। আমার এলাকার চা বাগানে স্কুল হচ্ছে। একটি সাততলা বিদ্যালয় হচ্ছে। কিন্তু চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও একটু নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি।

Advertisement

আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম