অর্থনীতি

এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ

২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে এতদিন যেসব সুবিধা পেয়ে আসছে, সেগুলো সীমিত হয়ে যাবে। এতে দেশের রপ্তানি খাত নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগেভাগেই নিতে হবে প্রস্তুতি। আর্থিক খাতে আনতে হবে বড় ধরনের সংস্কার।

Advertisement

মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, বিনিয়োগ হ্রাস, বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের চাপসহ নানা প্রতিকূলতায় কঠিন সময় পার করছে দেশের অর্থনীতি। সংকট উতরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের গ্রুপ থেকে দেশকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত করা এবং সম্ভাবনাময় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করেছে সরকার। তবে বাজেট বক্তৃতায় এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে দিকনির্দেশনার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেটে কিছু চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হলেও এলডিসি উত্তরণের পর কীভাবে তা কাটিয়ে ওঠা যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনার অভাব রয়েছে। ২০২৬ সালকে এলডিসি উত্তরণের বছর হিসাব করলে হাতে সময় আর মাত্র এক বছর। সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের করণীয় এবং তাদের আরও বেশি স্বনির্ভর করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল, যা বাজেট বক্তৃতায় অনেকাংশেই অনুপস্থিত।

আরও পড়ুনবাজেটে প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দিকনির্দেশনা নেইনতুন আরোপিত ও বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার চায় বিজিএপিএমইএ

গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে কিছু ক্ষেত্রে কিছু পণ্যের শুল্কহার বা ট্যারিফ যৌক্তিক করতে হবে। ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণের অন্যতম শর্ত হলো- বর্তমানে বলবৎ ন্যূনতম ও ট্যারিফ মূল্য এবং রেগুলেটারি ডিউটি- সম্পূরক শুল্ক পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে যেসব পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ শিডিউলে উল্লেখিত হার অতিক্রম করেছে সেসব পণ্যের ট্যারিফ আবদ্ধ ট্যারিফে আনতে হবে।

Advertisement

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পর শিল্পকে স্বনির্ভর করতে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এরই অংশ হিসেবে গত ৩০ জানুয়ারি তৈরি পোশাক, কৃষি ও চামড়াসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ২০২৪ সালের ত্রিবার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এলডিসি উত্তরণ ঘিরে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। যেখানে বিভিন্ন সূচকে এলডিসি উত্তরণের সবশেষ মূল্যায়নেও বেশ ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।

ওই প্রতিবেদনে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা—এসব সূচকে বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থায় রয়েছে। এলডিসি উত্তরণ হয়েছে বা হওয়ার পথে- এমন দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই টানা তিনটি মূল্যায়নে সব সূচকে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় শিল্পকে প্রস্তুত করার পদক্ষেপ হিসেবে আমি কিছু সুবিধা কমানোর প্রস্তাব করছি এবং বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে ১ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ সিডি বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করছি। এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পণ্য সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ব্যয় কমানোর প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় আমরা লজিস্টিক খাত অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করছি।’

Advertisement

লজিস্টিক খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে এলডিসি পরবর্তীসময়ে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য ও সেবার প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ধরে রাখা সম্ভব হবে বলেও আশার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সে পরিকল্পনায় ব্যবসায়ীদের ওপর হয়রানি কমানোর প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। একদিকে বলবেন আপনি স্বনির্ভর, অন্যদিকে ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের কোনো উদ্যোগ নেবেন না, সেটা তো হতে পারে না।- ফজলে শামীম এহসান

ফেব্রুয়ারির প্রতিবেদনে সিডিপি দেখিয়েছে, বাংলাদেশসহ যে ছয়টি দেশ এলডিসি উত্তরণের পথে রয়েছে, সবগুলো দেশের সামনেই চ্যালেঞ্জ চারটি। চ্যালেঞ্জগুলো হলো- বৈশ্বিক সংকট, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং বিদেশি সহায়তা বৃদ্ধি।

তবে এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার খাতভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে অবাধ ও অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই এবং ডব্লিউটিওর শর্ত মেনে চলার কারণে আমদানি শুল্ক থেকে আয় কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে শুল্ক যৌক্তিকীকরণ অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যক্তিগত, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগের প্রচলিত সংস্কৃতিও দূর করতে হবে।

‘বাংলাদেশ এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি’- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে অর্থমন্ত্রী ওই বক্তৃতায় আরও বলেন, ‘ভ্যাট অব্যাহতি, এলডিসি উত্তরণ যৌক্তিক করা এবং কর-জিডিপির অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে অব্যাহতি প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

এরই মধ্যে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের দিনক্ষণও ঠিক হয়ে গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটবে- জাতিসংঘের ওয়েবসাইট সূত্রের তথ্যে এমটিই জানা গেছে।

আরও পড়ুনবাজেটে সংস্কারের প্রত্যাশা করেছিলাম, গাইডলাইন পাইনিশুল্ক তুলে নিলে ইন্টারনেট ব্যবহার ২৮ শতাংশ বাড়বে

তবে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শুধু কর কাঠামোর পরিবর্তন বা নীতি সহায়তা প্রত্যাহার করে শিল্পকে স্বনির্ভর ও এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যাবে না। এজন্য সবার আগে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তরণের পর শিল্পকে স্বনির্ভর করতে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের রপ্তানিতে প্রণোদনা কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এরই অংশ হিসেবে গত ৩০ জানুয়ারি তৈরি পোশাক, কৃষি ও চামড়াসহ ৪৩টি খাতে পণ্য রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে। বাজেটে অধিকাংশ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাটিয়ে ওঠার সঠিক দিকনির্দেশনার ঘাটতিও স্পষ্ট। এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে প্রণোদনা ও ভর্তুকি ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে হবে।- ড. এম আবু ইউসুফ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীসময়ে রপ্তানি নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে এ খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেজন্য সরকার এখন থেকেই বিভিন্ন ধাপে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হচ্ছে, আগে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ সহায়তা দেওয়া হতো, যেন রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করা যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের আরও প্রতিযোগী করে তোলা যায়। এখন রপ্তানি আয়ের ওপর নগদ সহায়তার সর্বোচ্চ হার ১৫ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সে পরিকল্পনায় ব্যবসায়ীদের ওপর হয়রানি কমানোর প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। আমাদের পোর্ট চার্জ কমাতে হবে এবং ব্যবসায়ীদের নানাবিধ সুযোগ দিতে হবে।’

‘একদিকে বলবেন আপনি স্বনির্ভর, অন্যদিকে ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের কোনো উদ্যোগ নেবেন না- সেটা তো হতে পারে না। দুর্নীতি কমাতে হবে, শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সঙ্গে ডলারের ভিন্ন রেট দিতে হবে। এসব ব্যবস্থা করতে না পারলে গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হবে’- যোগ করেন তিনি।

রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) নির্বাহী পরিচালক ড. এম আবু ইউসুফ জাগো নিউজকে বলেন, এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কয়েকটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। বাজেটে অধিকাংশ চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনার ঘাটতিও স্পষ্ট। এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি হিসেবে প্রণোদনা ও ভর্তুকি ব্যবস্থা প্রত্যাহার করতে হবে।

সরকার অনেক উদ্যোগ নিলেও বাংলাদেশ কোন দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করবে তা নির্দিষ্ট করে বলা দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুনবাজেটে নতুন কিছু পেলাম না: ড. সালেহউদ্দিনঅর্থনীতির প্রতিটি খাত এখন সংকটে: ড. ওয়াহিদ উদ্দিন

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা ২০২৬ সালে যাত্রা শুরু করবো। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত অনেক দেশের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাবো। পরবর্তীসময়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এ সুবিধাগুলো সীমিত হয়ে যাবে। এজন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সেসব সুযোগ অব্যাহত রাখবো। এরই মধ্যে প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছি। ভারত, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোর বাজারে সহজে প্রবেশের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) উপদেষ্টা আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সঠিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। ব্যবসায়ীদের স্বনির্ভর করতে আমরা যদি উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে না পারি তাহলে গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীসময়ে বিপদে পড়তে হবে। স্বনির্ভরতার জন্য এ দুই বছর চেষ্টা করতে হবে। বাজেটে তেমনই কিছু লক্ষ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনেক কিছুই ছিল অনুপস্থিত।’

‘জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও বাজেটের আকার আরও বড় হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু সেটি করা যায়নি। কারণ, আমাদের নানামুখী অর্থনৈতিক সংকট রয়েছে। বিগত বছরগুলোর বাজেটে ব্যয়ের ১২-১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও এবার তা ৫ শতাংশের নিচে চলে এসেছে’- যোগ করেন আব্দুল মজিদ।

এসএম/এমকেআর/এমএমএআর/জেআইএম