দেশজুড়ে

এখনো স্বাভাবিক হয়নি টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল

এখনো স্বাভাবিক হয়নি টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের নৌ যোগাযোগ। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নাইক্যংদিয়া এলাকায় গোলাগুলি বন্ধ না হওয়ায় সেন্টমার্টিনগামী সার্ভিস বোটসহ সবধরনের যান চলাচল থমকে গেছে।

Advertisement

ফলে বিকল্প পথে উত্তাল সাগর ডিঙিয়ে সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল করছে। যাত্রী ও জরুরি পণ্য আনা-নেওয়ায় নৌযান যাচ্ছে শাহপরীর দ্বীপ হয়ে সেন্টমার্টিন। ফিরছেও একই পথে। তবে, বর্ষায় সাগর উত্তাল থাকায় বিকল্প এ পথটি পাড়ি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

শনিবার (২২ জুন) সকালেও শাহপরীর দ্বীপ থেকে জরুরি পণ্য এবং কিছু যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন গেছে দুটি ট্রলার। একই সঙ্গে সেন্টমার্টিন থেকে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ এসেছে দুটি স্পিডবোট।

স্বাভাবিক রুটের চেয়ে বিকল্প রুটটিতে উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হলেও নৌযান চলাচল করায় কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান। তবে টেকনাফ দিয়ে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় হতাশ দ্বীপের মানুষ।

Advertisement

চেয়ারম্যান মুজিব জানান, শনিবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বদরমোকাম এলাকা হয়ে দুটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলার দুটি দুপুর ১২টার দিকে দ্বীপে পৌঁছায়। ট্রলার দুটিতে ৩০০ গ্যাস সিলিন্ডার, কিছু খাদ্যপণ্য ও ৩০-৪০ জন যাত্রী ছিল।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুটি ট্রলারযোগে দ্বীপের ৩৫ শিক্ষার্থীসহ ৯২ জন যাত্রী নিয়ে দুটি ট্রলার নিরাপদে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছে। কিন্তু দ্বীপের মানুষ চান, আগের মতো নাফ নদী হয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হোক।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম জানান, শনিবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে দ্বীপ থেকে রোগীসহ ১৫ যাত্রী নিয়ে দুটি স্পিডবোট উত্তাল ঢেউ পাড়ি দিয়ে নিরাপদে শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছে।

মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চলমান সংঘাতের মাঝে গত ১ জুন বিকেলে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাবার পথে পণ্যসহ ১০ জন যাত্রীর ট্রলারকে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। একই স্থানে আরও তিনবার একই পথের নৌযানে গুলির ঘটনা ঘটে। ফলে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করে যাত্রীর আসা যাওয়া ও পণ্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সেভাবেই চলছে এখনো।

Advertisement

সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/এএসএম