বিনোদন

জুলফিকার-পাভেল জুটির আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীর থিম সং

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী তথা ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ আগামী ২৩ জুন। দিনটিতে আনন্দের মাত্রা বাড়াতে এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে দলের সমৃদ্ধ ইতিহাস মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তৈরি হয়েছে একটি থিম সং। যা তৈরি করেছেন দেশের অন্যতম সংগীত জুটি গীতিকবি জুলফিকার রাসেল ও সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন।

Advertisement

‘বাংলাদেশের হৃদয়জুড়ে আওয়ামী লীগের নাম’ শীর্ষক বিশেষ এ গানটির কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভিডিও। এটি পরিচালনা করেছেন ইশতিয়াক মাহমুদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রযোজনায় পুরো প্রজেক্টের পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

কোরাস কণ্ঠে গাওয়া থিম সংটি প্রকাশ হয়েছে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’র দুদিন আগেই (২১ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও অঙ্গ-সংগঠনগুলোর সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন:এবার বাবুর কণ্ঠে আনন্দের ‘প্রেমবতী’তিশার নতুন গান প্রকাশ

‘বাংলাদেশের হৃদয়জুড়ে আওয়ামী লীগের নাম’ গানটি প্রকাশের পর থেকেই প্রশংসিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে এর সমৃদ্ধ কথা ও চিত্রায়নে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। যে গানটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের পথচলার নান্দনিক গল্প।

Advertisement

গানটি লেখা প্রসঙ্গে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকবি জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা আর প্রগতির অনবদ্য ইতিহাসের নজির পৃথিবীতে খুব কম। সেই দলের প্রধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যার হাতে এই দেশটারই জন্ম। এরপরের অধ্যায় বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলার। বাঙালি জাতির জীবনে এই মুক্তি, বোধ আর উন্নয়নের অনবদ্য নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই দলটির প্লাটিনাম জয়ন্তীর অংশ হতে পেরে আনন্দ লাগছে।’

বলা দরকার, ‘বাংলাদেশের হৃদয়জুড়ে আওয়ামী লীগের নাম’ গানটি প্রকাশের ১৮ ঘণ্টার মাথায় শুধু দলীয় ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার হয়েছে পাঁচ শতাধিক। মন্তব্যের ঘরে অসংখ্য প্রশংসা ঝরছে শ্রোতা-দর্শকের পক্ষ থেকে।

গানটির সুরকার-সংগীত পরিচালক পাভেল আরিন বলেন, ‘প্রথম কথা হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মতো দলের প্লাটিনাম জয়ন্তীর থিম সং করতে পারা আমার জন্য অনেক সম্মানের বিষয়। গানটির গীতিকবি জুলফিকার রাসেল ভাই এ ক্ষেত্রে আমার প্রথম উৎসাহদাতা। তার উৎসাহ আর কাব্যময় লিরিক আমাকে আসলে গানটির সুর তৈরিতে অনেকটা পথ এগিয়ে দেয়। আগেও আমরা একসঙ্গে বেশ কিছু বড় থিম সং করেছি, এবারও করলাম। এই গানটির ক্ষেত্রে আমি আরও একটা বিষয় ফিল করেছি, সেটা হলো স্বাধীনতা। গানটি করবার ক্ষেত্রে যেটি আমাকে দিয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। ওনার বা দলের পক্ষ থেকে এই স্বাধীনতা না থাকলে সংগীত পরিচালক হিসেবে আমি হয় তো অ্যারেঞ্জারের মতো কয়টা ঢোল-তবলা বাজিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে হতো। কিন্তু এই গানের ক্ষেত্রে আমি ও রাসেল ভাই পূর্ণ স্বাধীনতা ও সাপোর্ট পেয়েছি, যেটা অবিশ্বাস্য। সব মিলিয়ে আমি আসলে খুব হ্যাপি এই গানটি করতে পেরে।’

এর আগে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তৈরি হয়েছে জুলফিকার রাসেলের কথা ও এ আর রাহমানের কণ্ঠ-সুরে বিশেষ গান ‘বলো জয় বঙ্গবন্ধু’। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ২২তম সম্মেলন ঘিরে জুলফিকার রাসেলের কথায় পাভেল আরিনের সুরে প্রথমবারের মতো তৈরি হয়েছিল দলটির থিম সং। এ জুটি আবুল খায়ের গ্রুপের একাধিক মিউজিক্যাল প্রজেক্টও করেছে সফলতার সঙ্গে।

Advertisement

www.facebook.com/share

এমআই/এমএমএফ/জেআইএম