‘মেরে ফেললে হবে না, পরিবেশ সম্মত উপায়ে জীবিত অবস্থায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলেই দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার।’
Advertisement
এবার অবস্থান পাল্টে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করলেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ। শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ আলী আশরাফ পিয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভার বিবিধ প্রসঙ্গ আলোচনায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রবের বিষয়টি উঠে আসে। এরপর বিভিন্ন মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। সবকটি গণমাধ্যমের খবরেই বলা হয়, কোতয়ালী থানা এলাকায় কেউ রাসেলস ভাইপার সাপ মারতে পারলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
এনিয়ে বন ও পরিবেশ কর্মীদের মাঝে অবশ্য আপত্তি ওঠে। এরপরই জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়।
Advertisement
জেলা আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় আলোচ্য সূচির ‘বিবিধ’ পর্যায়ে বিষধর রাসেলস ভাইপার সর্প প্রসঙ্গে জনস্বার্থে প্রতিকার সম্পর্কিত আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক এবং সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোহাম্মদ ইশতিয়াক আরিফ ঘোষণা দেন যে, ফরিদপুর সদর উপজেলাধীন কেউ যদি নিজেকে রক্ষাকারী পোশাক সম্বলিত হয়ে এবং সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বনপূর্বক জনস্বার্থে রাসেলস ভাইপার সর্পটি জীবিতাবস্থায় ধরতে পারেন- তবে তাকে ৫০ হাজার টাকায় পুরস্কৃত করা হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভুল বুঝাবুঝির কারণে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্যটি বিকৃত আকারে ‘সাপ মারতে পারলে’ হিসাবে প্রকাশিত হয়, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ জানান, হয়তো বিষয়টি বলার ভুল কিংবা বোঝার ভুল হতে পারে। তবে বিষধর হলেও এসব সাপ পরিবেশের বাস্তু সংস্থানের একটি অংশ। কিন্তু বর্তমানে ফরিদপুরের চরের মানুষেরা ভিষণ আতঙ্কগ্রস্ত এ নিয়ে। এজন্যই আমরা সবাইকে সতর্ক হতে এ ঘোষণা দিয়েছি। তবে সাপ মারা যাবে না, জীবিত অবস্থায় ধরতে পারলে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এন কে বি নয়ন/এফএ/এমএস
Advertisement