চাঁদপুরে এ বছর কোরবানির গরুর প্রতিটি চামড়ার সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছে ৬৫০ টাকা। আর সর্বনিম্ন দাম ৪৫০ টাকা। তবে যে পরিমাণ পশু জেলায় কোরবানি হয়েছে তাতে অধিকাংশ চামড়া বিক্রির হিসাব নেই ব্যবসায়ীদের কাছে।
Advertisement
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, কোরবানি হয়েছে প্রায় এক লাখ ৫৩ হাজার ৮ শতাধিক পশু।
শুক্রবার (২১ জুন) দুপুরে জেলা সদরের পালবাজারের বড় চামড়ার ব্যবসায়ী আকবর গাজীর সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, গত বছর কোরবানিতে ছোট বড় তিন হাজার ২শ চামড়া কেনেন। কিন্তু এবছর সব মিলিয়ে চামড়া কিনেছেন এক হাজার ৬শটি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, জেলায় চামড়ার ব্যবসা বিলুপ্তির পথে। এক সময় এই ব্যবসায়ীদের সংগঠন ছিল। এখন নেই। হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, হাইমচরসহ ৮ উপজেলায় এখনো কিছু চামড়া ব্যবসায়ী আছেন। তবে চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় আগের মতো চাঙ্গা ভাব নেই। ঢাকায় যাদের কাছে চামড়া বিক্রি করেন তারা সঠিকভাবে টাকা পরিশোধ করেন না। যে কারণে বিক্রি নিয়েও শঙ্কায় আছেন।
পালবাজারের আরেক চামড়া ব্যবসায়ী বাচ্চু সরদার। তার আড়তও আকবর গাজীর প্রতিষ্ঠানের পাশে। দুটি আড়তেই দেখা গেলো স্বল্প সংখ্যক চামড়ার স্তুপ। বিগত ৫-৭ বছর আগে কোরবানির সময় এ বাজারে চামড়ার স্তূপের জন্য প্রবেশ করা কঠিন ছিল। অনেক শ্রমিকই এখানে চামড়ায় লবণ দেওয়ার কাজ করতেন।
জেলা সদরের স্টেডিয়াম রোড, মিশন রোড ও নিউ ট্রাকরোডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, আলম খান ও কামাল হোসেন জানান, তারা সবাই চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় মাদরাসা ও এতিমখানায় দান করেছেন। গত কয়েক বছর এভাবেই চামড়া বিক্রি না করে দান করে আসছেন।
চাঁদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৭৮ হাজার। সর্বশেষ জরিপে এবং জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৮ উপজেলায় কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা এক লাখ ৫৩ হাজার ৮ শতাধিক। তবে চামড়া বিক্রির তথ্য আমাদের কাছে নেই।
Advertisement
এমএসআই/জেডএইচ