দেশজুড়ে

লাইন কাটতে যাওয়ায় ইউএনওর নির্দেশে বেঁধে রাখা হলো কর্মচারীকে

বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দুই বছরের। পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে যান বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন কর্মচারী। এতে ক্ষুব্ধ হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তার নির্দেশে একজন কর্মচারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা যায়।

Advertisement

এমনই ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে। শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকে এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর আবাসিক কোয়ার্টার সংলগ্ন আনসার ব্যারাকে এ ঘটনা ঘটে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বারান্দার লোহার পাইপের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মচারীকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার পাশেই আরেক কর্মচারী বসে রয়েছেন। এক ব্যক্তি ফোনে এ দৃশ্যের ভিডিও করছেন। ভিডিওতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীকে বলতে শোনা যায়, আমি সরকারি কাজ করতে এসেছি, আমি কি সরকারি লোক না? আমাকে এভাবে চোরের মতো বেঁধে রাখতে পারে না। পাশ থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, আপনাকে বলার পর লাইন কেটেছেন কেন? ইউএনওর নির্দেশে আপনাকে বেঁধে রাখা হয়েছে।

ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের লাইন টেকনিশিয়ান ইকবাল হোসেন। তিনি জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ কোয়ার্টারের বেলী-১, হাসনাহেনা-১ ও আনসার ব্যারাকের পল্লী বিদ্যুতের দুই বছরের বিল বকেয়া রয়েছে। বৃহস্পতিবার পল্লী বিদ্যুৎ দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের এজিএম শেখ ফরিদের নির্দেশে তিনি ও লাইন টু লেবেল-১ শাহজামাল ইয়াছিন বকেয়া বিলের জন্য উপজেলা চত্বরে যান। সেখানে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেন দেন। নির্দেশ পেয়ে ব্যারাকের কর্তব্যরত আনসারদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা জানালে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসানকে ফোনে বিষয়টি জানান। একপর্যায়ে ইউএনওর নির্দেশে আনসারস সদস্যরা ইকবাল হোসেনকে ব্যারাকের বারান্দার খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

Advertisement

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ইয়াহিয়া সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।

তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্সের ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নাসিম উদ্দিন/এসআর/জিকেএস

Advertisement