দেশজুড়ে

মুষলধারে বৃষ্টিতেও থেমে নেই পর্যটকদের উল্লাস

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে বেলা ১১টা থেকে ভারী বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। মুষলধারে এই বৃষ্টির মধ্যেও থেমে নেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সমুদ্রবিলাস।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা ১১টায় শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত এখনো চলমান। এতে সমুদ্রস্নান, ছবি তোলাসহ হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন পর্যটকরা। তবে অনেক পর্যটক অবাধে বিচরণ, গন্তব্যে ফেরা বা শিশুদের নিয়ে বের হতে না পেরে হোটেলে সময় কাটাচ্ছেন।

হোটেল-মোটেল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের চাপ কম ছিল। এমনকি তাদের বুকিং ছিল মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবারই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘ঈদ পরবর্তী বুকিংয়ে আমরা অনেকটা হতাশ ছিলাম। এমনকি কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের ৫০ শতাংশও বুকিং পাইনি। তবে বৃহস্পতি ও শুক্রবারকে কেন্দ্র করে ভিড় ও বুকিং বাড়তে থাকে। আগামী দুদিনে কুয়াকাটায় থাকা ২০০ আবাসিক হোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ রুম বুকিং পাবো আশা রাখি।’

Advertisement

ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছেন পাপ্পু। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে যখন এসেছি তখন বৃষ্টি ছিল না। সৈকতে নামার পরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে কিছুটা অপ্রস্তুত থাকলেও আনন্দটা দ্বিগুণ হয়ে গেলো। এত বড় বড় ঢেউ কখনো দেখিনি। এতে ভয়ও লাগছে আনন্দও করছি।’

ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের ভাটা পড়লেও শুক্রবারকে কেন্দ্র করে কিছুটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন বাড়লে আমরা অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করি। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে। বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ বেশ কয়েকটি টিম আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/এমএস

Advertisement