সরকার বিদেশি বিনিয়োগের প্রসারে কাজ করছে। কিন্তু তাতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার ২৬ দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য চুক্তি করেছে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।
একাধিক দেশের সঙ্গে সরকার ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ইকোনমিক পার্টনারশিপ নিয়ে কাজ করছি। রিজেনাল কানেক্টভিটি ও রিজেনাল ইন্টিগ্রেশন নিয়ে কাজ করছি। বাণিজ্যমন্ত্রণালয় ২৬টা দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের বাণিজ্য চুক্তি করেছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এর ওপর আলোচনা করেন বিএফটিআই এর সিইও ড. জাফর উদ্দিন, বিল্ড এর সিইও ফৈরদৌস আরা বেগম, ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।
Advertisement
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন প্রমুখ।
সেমিনারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পণ্য রপ্তানির থেকে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি আমাদের বলেছেন যে, কর্মসংস্থান কীভাবে বাড়ানো যায়। আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ম্যানুফ্যাকচার শিল্পকে নানাভাবে রাজস্ব বোর্ড সহযোগিতা করছে। মেড ইন বাংলাদেশ কনসেপ্টটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে লালন করছি। কিছু পণ্য আমরা আমদানি করতে চাই না। কিছু পণ্য নিজের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে রপ্তানি করতে চাই। দেশীয় বাজার ও রপ্তানি বাজারে সাপোর্টের একটা ফারাক আছে। সেই ফারাকটা না কমলে নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে রপ্তানির তাগিদ আসবে না। এজন্য আমরা বিভিন্ন পলিসি নিয়েছি। শিল্প উদ্যোক্তাদের বুঝতে হবে যে, তাকে এখন সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তাকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ড. জাইদি সাত্তার বলেন, ১৯৯০ সালের পর বাণিজ্য নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন এসেছে। এর সুবিধা আমরা দুই যুগ বহন করেছি। তবে বাণিজ্য নীতিতে আরও পরিবর্তন দরকার।
Advertisement
এক দেশে দুই ধরনের বাণিজ্য নীতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, রেডিমেড গার্মেন্টস খাতে নানা ধারণের নীতি সহয়তা দেওয়া হচ্ছে। অন্য ১৪-১৫ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে এ ধরণের নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। যা বৈষম্যমূলক। এর ফলে রপ্তানি বৈচিত্রকরণ করা কঠিন হচ্ছে।
এসএম/এমআইএইচএস/এমএস