দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মানুষের পকেটে টাকা আছে। একসময় গ্রামে মাছ-মাংস পাওয়া যেত না, এ দশা এখন নেই। মানুষের পকেটে টাকা না থাকলে লাখ টাকা দিয়ে কোরবানি দিতো না।
Advertisement
তিনি বলেন, একসময় বড় বোয়াল সারাদিন বিক্রি হতো না, বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পড়ে থাকতো। এখন বড় বোয়ালের তিনজন ক্রেতা দাঁড়িয়ে থাকেন। গ্রামের মানুষেরও সক্ষমতা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি: প্রবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও পুষ্টি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমার এলাকায় এখন তিন ফসল হয়। ধান উৎপান বৃদ্ধি পেয়েছি। সবার প্রচেষ্টায় কৃষিকে আমরা ফোকাস করছি। গত চার মাসে এক কোটি পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছি। স্থায়ী দোকানে জুন মাস থেকে সারাদেশে ১০ হাজার ডিলার করে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেবো।
Advertisement
আরও পড়ুন
১৫ লাখ টাকার ছাগল নিয়ে প্রশ্ন, এড়িয়ে গেলেন এনবিআর চেয়ারম্যান বছরে পাচার হয় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার, এ কারণে সংকট: সাবেক প্রতিমন্ত্রীভর্তুকির কারণে রিজার্ভ কমেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ১৪ বিলিয়ন গেছে সার-তেল আমদানির জন্য। ৪৮ বিলিয়ন থেকে এমনিতে ২০ হয়নি। কৃষি গবেষণা দরকার। পচনশীল পণ্য কাজে লাগাতে হবে। কোন মাসে কত প্রয়োজন এটা নির্ণয় করতে হবে। বাজারে কোনো পণ্যের যেন ঘাটতি না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করছি। মিয়ানমার থেকে আদা, মরিচ আমদানির চেষ্টা করছি। ১২ মাস ভোক্তার কোনো পণ্যের যেন কোনো ঘাটতি না থাকে। ডলার দাম বাড়লেও তেলের দাম আমরা স্থিতিশীল রাখছি। ১২ মাস সাপ্লাই চেইন ঠিক করতে চায়। আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছি।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ডিউটি ফ্রি (শুক্লমুক্ত) কোটা ফ্রি সুবিধা পাচ্ছি। তিন মাসের রিজার্ভ আছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে। সামনে আরও ভালো সময় আছে।
সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্ব সভায় বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি ড. জিয়াকুন শি, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।
Advertisement
এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস