সারাজীবন একসঙ্গে থাকার সংকল্প করে ভালোবাসার সঙ্গে জড়ালেও বেশ কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই দেখা দেয় অশান্তি। যদিও এর অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে প্রেমে বারবার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিষয়টি কিন্তু মোটেও সুবিধার নয়।
Advertisement
বারবার প্রেমে পড়ছেন, ঠিকমতো সম্পর্ক এগিয়ে যেতেই হঠাৎ বিপত্তি দেখা দিল, এরপর সঙ্গী আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেন, আর আপনি হলেন প্রত্যাখ্যাত! বারবার কি আপনার সঙ্গেও এমনটি ঘটছে?
যদি তা ই হয় তাহলে সঙ্গীর দোষ না খুঁজে বরং নিজেকে দোষারোপ করুন। কারণ বারবার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পেছনে আপনারও দোষ থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বারবার এমনটি ঘটার পেছনে আছে বেশ কয়েকটি কারণ। যা আপনার অজান্তেই ডেকে নিয়ে আসছে অশান্তি। জেনে নিন কী কী-
Advertisement
১. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলায় যদি কেউ বারবার নানা কারণে অভিভাবকের কাছে গালমন্দ শোনে তাহলে তার মনে তৈরি হয় নেগেটিভিটি।
আরও পড়ুন
ঈদে ওজন বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে কী করবেন? স্ট্রোকের বছরখানেক আগ থেকেই শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়তাই বড় হয়ে সম্পর্কে জড়ালে সেই নেগেটিভিটির সঞ্চার ঘটে। লে সঙ্গীর উপরও সেই নেতিবাচকতা প্রকাশ করে ফেলেন। ফলে সঙ্গী মানসিক চাপ বোধ করায় ব্রেকআপ করেন।
২. অনেক মানুষই সম্পর্কে জড়ানোর পর সঙ্গীর উপর সব বিষয় নিয়েই অধিকার খাটাতে গিয়ে নিজের আত্মসম্মানকে একেবারে মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসেন। যা সঙ্গীর কাছে নির্যাতনের মতো মনে হতে পারে। আর সে কারণে তিনি আপনাকে ছেড়ে যেতে পারেন।
Advertisement
৩. সম্পর্ক নিয়ে যদি আপনি সব সময় নেগেটিভ ভাবেন তাহলে সেটি বেশিদিন টিকবে না। অনেকেই সঙ্গীর চলাফেরা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। যা সম্পর্কে অশান্তির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। এ কারণে অনেকেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলেন।
৪. সঙ্গী কখন কী করছেন, কাদের সঙ্গে মিশছেন ইত্যাদি জানার জন্য সারাদিন যদি তাকে ফোন করেন তাহলে সে বিরক্তবোধ করতে পারে। এগুলো আপনাকে মানসিকভাবে স্বস্তি দিলেও সঙ্গী হয়তো এ বিষয় বিরক্তির কারণ হিসেবে দেখতে পারেন। এ কারণেও সম্পর্ক ভাঙতে পারে।
৫. অত্যধিক অধিকারপ্রবণ মানসিকতাও বিপজ্জনক হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে। সঙ্গীর সব ভালো-মন্দ দেখতে যাবেন না। নিজের জীবনের দায়িত্ব তাকে নিতে দিন। এজন্য পাশে থাকুন। তবে তার উপর জোর খাটাবেন না কখনো। এতে ওই সম্পর্ক ভেঙে যেতে পারে।
জেএমএস/জিকেএস