কোনো নামাজের জামাতের আজান যিনি দেবেন, ইকামত দেওয়া তার অধিকার। তাই ইকামতের সময় মুয়াজ্জিন উপস্থিত থাকলে তিনিই ইকামত দেবেন। হাদিসে এসেছে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, সে আজান দেবে, সেই ইকামত দেবে। জিয়াদ ইবনে হারিস আস-সুদায়ী (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদিন আমাকে নির্দেশ দিলেন ফজরের নামাজের আজান দিতে। আমি আজান দিলাম। তারপর নামাজ দাঁড়ালে বেলাল (রা.) ইকামত দিতে দিতে চাইলে আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,
Advertisement
إِن أَخا صداء قد أذن وَمن أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ
সুদাঈর ভাই আজান দিয়েছে আর যে আজান দেবে সেই ইকামত দেবে। (সুনানে তিরমিজি: ১৯৯)
তবে মুয়াজ্জিন রাজি থাকলে কিংবা তার কোনো ওজর থাকলে অন্য কেউ ইকামত দিতে পারবে। ফরজ নামাজের জামাতের আগে ইকামত দেওয়া সুন্নতে মুআক্কাদা। নবিজি সব সময় ইকামত দিয়েই নামাজ পড়াতেন। তাই জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইকামত না দেওয়া মাকরূহ। একা নামাজ পড়ার সময়ও ইকামত দেওয়া উত্তম।
Advertisement
তবে ভুল করে বা অন্য কোনো কারণে ইকামত ছাড়া জামাতে নামাজ আদায় করলে সুন্নতের খেলাফ ও মাকরুহ হলেও নামাজ শুদ্ধ হবে। পুনরায় ওই নামাজ আদায় করতে হবে না।
নামাজের ইকামত শুরু হলে মুক্তাদীদের করণীয় হলো দাঁড়িয়ে কাতার সোজা করতে থাকা যেন ইকামত শেষ হতে হতে জামাতের কাতার সোজা হয়ে যায় এবং ইকামত শেষ হলে ইমাম নামাজ শুরু করতে পারেন। সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, বেলাল (রা.) আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসতে দেখে ইকামত শুরু করতেন। মুক্তাদিরা কাতার সোজা করা শুরু করতেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের জায়গায় পৌঁছার আগেই কাতার পুরোপুরি সোজা হয়ে যেত। (সহিহ মুসলিম: ১/২২০)
ওএফএফ/জিকেএস
Advertisement