আন্তর্জাতিক

তীব্র তাপপ্রবাহে হজযাত্রীর মৃত্যু বেড়ে ৯২২

তীব্র তাপপ্রবাহে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ শতাধিক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার অনেক হজযাত্রীই নিখোঁজ হওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্য এবং স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এবারের হজের সময় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন সৌদিতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরা। খবর এএফপির।

Advertisement

স্থানীয় সময় সোমবার পবিত্র মক্কা নগরীতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। এদিকে হজ করতে আসা অনেক হজযাত্রীকে খুঁজে না পেয়ে তাদের স্বজনরা হাসপাতালে খোঁজ নিতে শুরু করেন। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমেও সাহায্য চেয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলকি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৮ লাখ মানুষ হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে সফর করছেন। তবে এদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক এবং দূর্বল। সৌদিতে এবারের গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফলে হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরম এবং রোদের তাপে হজযাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

এক আরব কূটনীতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এ বছর হজে অংশ নেওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই মিশরের নাগরিক। চলতি বছর মিশরের কমপক্ষে ৬০০ হজযাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

Advertisement

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে হজ করতে আসা হজযাত্রীদের মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২২ জনে। সৌদি আরবে নিযুক্ত মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের ১৪০০ হজযাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। পরবর্তীতে ৬০০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে তিউনিসিয়ার নাগরিক মোহাম্মদ বুধবার এএফপিকে জানিয়েছেন যে, শনিবার আরাফাতের ময়দানে হজের আনুষ্ঠানিকতার সময় নিখোঁজ হন তার স্ত্রী মাবরুকা বিনতে সালেম শুশানা (৭০)।

তিনি বলেন, তার স্ত্রী নিবন্ধিত হজযাত্রী ছিলেন না এবং তার কাছে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের অনুমতি ছিল না। সে কারণে যেসব এলাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সেখানকার সুযোগ-সুবিধা নিতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে এ বছর ৫৫০ হজযাত্রীর মৃত্যু আড়াই লাখ মানুষকে ফিরিয়ে দিলো সৌদি আরব হজকে যেভাবে পরিবেশবান্ধব করছে সৌদি আরব

মোহাম্মদ আফসোস করে বলেন, তিনি একজন বয়স্ক নারী। তিনি খুবই ক্লান্ত ছিলেন এবং তার খুব গরম লাগছিল। তিনি ঘুমানোর জন্যও কোনো জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আমরা সব হাসপাতাল খুঁজে দেখেছি কিন্তু কোথাও তার কোনো খোঁজ পাইনি।

Advertisement

ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাদের নিখোঁজ স্বজনদের ছবি দিয়ে সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন।

টিটিএন