চার পুরুষের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল তরুণের। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন তিনি।
Advertisement
অভিযোগ, একটি হোটেলের কক্ষে আটকে চার পুরুষ মিলে যৌন নির্যাতন চালায় ওই তরুণের ওপর। সেই ঘটনার দৃশ্য ভিডিও করা হয়। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে অপরাধীরা।
এ ঘটনায় নানা নাটকীয়তার পর একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই, গত শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে আত্মহত্যা করেন ভুক্তভোগী তরুণ। শনিবার সকালে তার মরদেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুর ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।
পুলিশ সুপার (উত্তর) জিতেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তব সোমবার জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী তরুণ তার ভাইয়ের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মাসখানেক সোশ্যাল মিডিয়ায় করণ নামে একজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন আদিত্য নামে ওই তরুণ। একদিন আদিত্যকে চিলুয়াতালে নিজ বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান করণ।
Advertisement
গত বৃহস্পতিবার ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণকে চিলুয়াতালের রেল বিহারের একটি হোটেলে নিয়ে যান করণ। সেখানে তার সঙ্গে যোগ দেয় আরও তিন সহযোগী।
অভিযোগ, হোটেলের ওই কক্ষে আদিত্যের ওপর যৌন নির্যাতন চালান চার যুবক। তরুণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হয়। এই নির্যাতনের দৃশ্য তারা ভিডিও করে রাখেন এবং সেটি গোপন রাখার বিনিময়ে টাকা দাবি করেন।
অভিযোগ উঠেছে, এসময় নির্যাতনকারীরা আদিত্যের মোবাইল ফোন থেকে ইউপিআই ব্যবহার করে টাকা স্থানন্তর করেন এবং বিয়ার কেনেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রথমে শাহপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চিলুয়াতাল এবং শাহপুরের মধ্যে এখতিয়ার সংক্রান্ত সমস্যার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি।
Advertisement
অবশেষে গত শুক্রবার ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। তাতে আসামি করা হয় করণ ওরফে আশুতোষ মিশ্র (২৬), দেবেশ রাজনন্দ (২৪), অঙ্গদ কুমার (২১) এবং মোহন প্রজাপতিকে (২০)। এদের মধ্যে তিনজনকে এরই মধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোহন এখনো পলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/