ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা ১০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্য যাত্রা শরু করে মেট্রোরেল। ছুটির দিন হলেও মেট্রোরেলে ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
Advertisement
এছাড়া সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়াসহ নানা কারণে মেট্রোরেলে যাত্রীর সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
সকালে রাজধানী পল্লবী, আগারগাঁও, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, স্টেশনগুলোতে তেমন যাত্রী নেই।দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবসর সময় পার করছেন।
কাউন্টারে দেখা মেলেনি চিরচেনা টিকিট বিক্রির দীর্ঘলাইন। হাতে গোনা যেসব যাত্রী আসছেন তারাও অপেক্ষা ছাড়াই মেশিনের সাহায্যে টিকিট কেটেছেন। কাউন্টারগুলোতে কর্মকর্তার উপস্থিতি ছিল কম। তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্য, এমআরটি পাস চেকার এবং পরিছন্নতাকর্মীর কাজে নিয়োজিতদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া ট্রেনের ভেতরে কিছু যাত্রী লক্ষ্য করা গেছে। যাদের অধিকাংশই এসেছেন উত্তরা স্টেশন থেকে।
Advertisement
আগারগাঁও স্টেশনে দায়িত্বরত আনসার সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, সকালে যাত্রীর চাপ কম। অন্যসময় সকালে যাত্রীর অনেক চাপ থাকে। ছুটিতে মানুষ ঢাকার বাইরে গেছেন। ঢাকায় যারা আছেন তারা দুপুরের পর ঘুরতে বের হতে পারেন। তখন যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
উত্তরায় স্টেশন থেকে আসা যাত্রী শরিফুল বলেন, একটা ব্যবসায়িক কাজে বের হয়েছি। আগারগাঁও থেকে রিকশা নিয়ে শ্যামলী যাবো।
আগারগাঁ স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ট্রেনে ওঠেন বাউল আলামিন। তিনি বলেন, সায়েদাবাদ যাবো। দুপুরে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাস ধরতে হবে। মতিঝিল থেকে সায়দাবাদ গিয়ে বাসে উঠবো। রাস্তায় বাস একেবারেই কম। তার ওপরে ঈদ উপলক্ষে ভাড়াও কিছুটা বেশি নিচ্ছে। এছাড়া দ্রুত পৌঁছাতে পারছি, এজন্য মেট্রোতে উঠলাম।
এসএম/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement