খেলাধুলা

আমি সবার জায়গায় গিয়ে খেলে দিতে পারবো না: বাবর

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে হেরে তাদের বিদায় নিতে হচ্ছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এ অবস্থায় দলটিকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। অভিযোগের তির অধিনায়ক বাবর আজমের দিকেও।

Advertisement

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। এই ম্যাচে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে তারা। এরপর নিজের দায় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বাবর আজম। তিনি বলছেন, দল হিসেবেই ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

বাবর বলেন, ‘আমরা হারি ও জিতি দল হিসেবে। আপনারা আঙুল তোলেন যে আমি অধিনায়ক, কিন্তু আমি তো সবার জায়গায় গিয়ে খেলে দিতে পারবো না। ১১ জন খেলোয়াড় আছে আর সবারই একটা ভূমিকা আছে। এজন্যই তারা এখানে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে।’

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বাবর আজম। টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক করা হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে ফের অধিনায়ক করা হয় বাবরকে।

Advertisement

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যখন আমি ২০২৩ সালে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেই, আমার মনে হয়েছে এটা এখন করা উচিত না। এজন্যই আমি ছেড়ে দিয়েছি আর নিজেই সেটি জানিয়েছি। এরপর যখন তারা আমাকে আবার দিলো, এটা পিসিবির সিদ্ধান্ত ছিল।’

‘যখন আমরা দেশে ফিরবো, এখানে কী হয়েছে সব নিয়েই আলোচনা হবে। আর যদি আমাকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়, নিজেই সরাসরি ঘোষণা করবো। আমি কোনো কিছুর পেছনে লুকিয়ে থাকবো না। যাই হবে, প্রকাশ্যে হবে। কিন্তু এখনও এসব নিয়ে ভাবিনি। এটা আসলে পিসিবিরই সিদ্ধান্ত।’

যুক্তরাষ্ট্র এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল। তাদের কাছে সুপার ওভারে হেরে যায় পাকিস্তান। সুপার এইটেও এখন জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কোথায় ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র? ব্যাটিংকে দায় দিচ্ছেন বাবর আজম।

তিনি বলেন, ‘আমরা দল হিসেবে খেলিনি। এমন না যে কোনো একজনের কারণে হেরে গেছি। দল হিসেবেই আমরা হেরেছি, ক্লিক করতে পারিনি। কখনও কখনও আমরা বোলিংয়ে ভালো করেছি কিন্তু ব্যাটিংয়ে পারিনি। এখনকার পিচ- পেসারদের সামান্য সাহায্য করছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আমরা ক্লিক করিনি।’

Advertisement

‘যখন খেলা আমাদের হাতে ছিল- তখন উইকেট হারিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হেরেছি। আমরা এগিয়ে ছিলাম, চাপ ছিল প্রতিপক্ষের ওপর। কিন্তু যখন একের পর এক উইকেট হারিয়েছি, তখন চাপ তৈরি হয়ে গেছে।’

আইএইচএস/জেআইএম