দেশজুড়ে

ট্যানারিতে ঢুকছে কাঁচা চামড়া, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার অভিযোগ

সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে শুরু হয়েছে চামড়া সংগ্রহের প্রক্রিয়া। ফলে ট্যানারিগুলোতে বাড়ছে কর্মব্যস্ততা। অন্যান্য বছরের মতো এবার চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকার আশপাশ এলাকা থেকে ট্যানারিগুলোতে আসতে শুরু করে চামড়াবোঝাই ট্রাক।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ট্যানারিগুলোতে কর্মব্যস্ততা। কাঁচা চামড়াগুলোকে কাটিং করে দেওয়া হচ্ছে লবণ। লবণযুক্ত চামড়াগুলোকে সংরক্ষণ করে পরবর্তী ধাপে নেওয়া হবে বলে জানান ট্যানারি মালিকরা।

আঞ্জুমান ট্রেডিং করপোরেশনের ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকার ভেতর থেকে পাইকার ও বিভিন্ন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ট্রাকে করে চামড়াগুলো নিয়ে আসছে। আগে থেকে প্রস্তুত থাকা শ্রমিকরা সেগুলো নামিয়ে তাতে লবণ দিচ্ছেন। ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে লবণ না দিতে পারলে চামড়ার গুণগতমান থাকে না। এমনকি নষ্ট হয়ে যেতে পারে পুরো চামড়া।’

Advertisement

আরও পড়ুন

কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বাড়লেও খুশি নন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

সাভার চামড়া শিল্পনগরীর কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দুই শতাধিক চামড়াবোঝাই ট্রাক চামড়া শিল্পনগরীতে ঢুকেছে। প্রায় ছয় লাখ কাঁচা চামড়া প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী সাতদিন ঢাকার বাইরের কোনো চামড়া সংগ্রহ না করবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে এবারও চামড়ার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন পাইকাররা। তারা বলছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৩ জুন কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এ বছর ঢাকায় গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৫০-৫৫ টাকা। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে গরুর প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। সেটাও মানছেন না ট্যানারি মালিকরা।

তবে এ অভিযোগ মানতে নারাজ বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ। তিনি বলেন, সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে অনেকেই লবণ না দেওয়া চামড়া ওই দামে বিক্রি করতে চান। সেটাতো সম্ভব না। তবে লবণযুক্ত চামড়া সরকারের বেধে দেওয়া দামেই কেনা হচ্ছে।

Advertisement

মাহফুজুর রহমান নিপু/এসআর/এমএস