পবিত্র ঈদুল আজহায় ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে রাজধানীতে চলছে পশু কোরবানি। সোমবার (১৭ জুন) ঢাকাসহ সারা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করছেন।
Advertisement
এদিকে দুপুরে ২টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভ্যাপসা গরম ও কোরবানির পশু কাটাকাটিতে ব্যস্ত থাকায় বিনোদনকেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের তেমন একটা ভিড় দেখা যায়নি।
ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই নগরবাসীকে পশু কোরবানি করতে দেখা যায়। কেউ কোরবানি দিচ্ছেন রাস্তায় থাকা নির্ধারিত স্থানে আবার কেউবা কোরবানি দিচ্ছেন বাসা-বাড়ির গাড়ির গ্যারেজের স্থানে।
আরও পড়ুন:
Advertisement
মিরপুর-১ নম্বর সনি সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামীকাল থেকে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
বেলা ১টা ৩০ মিনিটে সনি সিনেমা হলের সামনে গোটা বিশেক সিনেমাপ্রেমীর ভিড় দেখা যায়। তারা প্রায় সবাই শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘তুফান’ দেখতে এসেছেন। তবে ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলায় তখনও হলের মূল ফটক খোলেনি।
হল সংশ্লিষ্ট একজন জানান, সাড়ে তিনটায় প্রথম শো। সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। যারা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তারাই ‘তুফান’ দেখতে পারবেন। কিছুক্ষণ পর হল খুলে দেওয়া হবে।
ইস্টার্ন হাউজিং থেকে আসা কাউয়ুম বলেন, সকালে গরু কাটার কাজ শেষ করেছি। এখন বন্ধুদের নিয়ে আসলাম। অগ্রিম টিকিট কাটিনি। এখন অনলাইনে দেখছি টিকেট আছে কি-না।
Advertisement
আরও পড়ুন:
ঈদ আনন্দ নেই হাওরাঞ্চলে, চিড়া-মুড়ি খেয়ে দিন পার ঈদের দিনও চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনাচিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনেও দর্শনার্থীর ভিড় দেখা যায়নি। উভয় বিনোদনকেন্দ্রের টিকিট কাউন্টার ছিল প্রায় ফাঁকা।
ময়ূরের পাখা বিক্রেতা মিরাজ মিয়া বলেন, কাল থেকে দর্শনার্থী বাড়বে। আজকে দর্শনার্থী নেই। আমাদের বেচাবিক্রিও নেই।
মোহাম্মদপুর থেকে পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে এসেছেন সুজন মিয়া। তারা সবাই কয়েকটি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। দুপুরে তাদের সঙ্গে কথা হয় চিড়িয়াখানার বাইরে।
সুজন বলেন, রাত থেকেই রেস্তোরাঁ খোলা এ জন্য বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে এলাম। প্রচণ্ড গরমে দুই ঘণ্টা ঘুরেছি। এখন হাতিরঝিল যাবো।
দর্শনার্থী না থাকার কারণ হিসেবে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের দিনটায় তুলনামূলক দর্শনার্থী কমই থাকে। মানুষ পশু কোরবানি ও কাটাকুটিতে ব্যস্ত থাকে সারাদিন। এবার প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের পর থেকেই দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আশা করছি আগামীকাল দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
এসএম/এসএইচএস/এমএস