জাতীয়

চট্টগ্রামে ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি প্রার্থনা

চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত শেষে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনে নিপীড়িত মানুষদের মুক্তি, শান্তি ও তাদের জন্য সহযোগিতা কামনা করা হয়।

Advertisement

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে প্রথম ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

নামাজ শেষে মোনাজাতে বাংলাদেশকে শান্তির দেশ করে দেওয়ার দোয়া করা হয়। এছাড়াও কোরবানির বিধিবিধান এবং সব দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সবাইকে সুরক্ষিত রাখার দোয়া করা হয়। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে আল্লাহর কাছে দোয়া ও সাহায্য কামনা করা হয়।

খতিব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী বলেন, আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর জন্য বিভিন্ন ইবাদত পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে ঈদুল আজহা অন্যতম। আজকের এই দিনে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দের আমল হচ্ছে পশুর রক্ত প্রবাহিত করা। তবে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশেই কোরবানি করতে হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি ন্যূনতম গাফিলতি করে তবে তার কোরবানি কবুল হবে না। মানুষের বাহবা পাওয়ার উদ্দেশে কোরবানি করা যাবে না।

Advertisement

ঈদের প্রধান ও প্রথম জামাতে সাধারণ মুসল্লিদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও সোলায়মান আলম শেঠসহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

এর আগে জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে ও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করা হয়।

একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়। এতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।

এদিকে, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।

Advertisement

এছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদগুলো হলো- লালদিঘী সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)।

নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এএজেড/এমকেআর/জেআইএম