ঈদুল আজহার নামাজ ও মুসল্লিদের ঈদ উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন তৎপর।
Advertisement
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কদম ফোয়ারা, দক্ষিণে দোয়েল চত্বর ও সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেট হয়ে শিক্ষা ভবন, উত্তরে মৎস্য ভবন ও বার কাউন্সিলের সামনে চেক করে আর্চওয়ে দিয়ে ঢুকছেন পুরুষ ও নারীরা।
সোমবার (১৭ জুন) সকাল জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ জামাত ঘিরে চারপাশের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। পুরো এলাকায় বসানো হয়েছে গোপন অত্যাধুনিক মুভি ও সিসি ক্যামেরা। যা কন্ট্রোল রুম থেকে মনিটরিং করা হবে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও র্যাবসহ অন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্মিলিতভাবে এবারের জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
Advertisement
মাঠের আশপাশের রাস্তায় এবং প্রতিটি উঁচু ভবনের ছাদে বসানো ওয়াচ টাওয়ার। যেখান থেকে শক্তিশালী বাইনোকুলার দিয়ে পুরো এলাকার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। এছাড়া ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায়ও বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক গোপন মুভি ক্যামেরা।
জাতীয় ঈদগাহের ঈদ জামাতে অংশ নেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারকেরা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য,বিদেশি কূটনৈতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিশিষ্ট নাগরিকসহ সর্বস্তরের মুসল্লিরা। এজন্য নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল ও পার্কিংয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
মাঠের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। জাতীয় ঈদগা ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় সকাল ৭টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ভিআইপিরা নামাজ শেষে বের হয়ে না যওয়া পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গোপন মুভি ক্যামেরা ও সিসি টিভি মনিটরিং করা হবে ঈদগা মাঠের প্রবেশের মূল গেটে পাশেই স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে। পার্কিং করতে যাওয়া বাহন তল্লাশির পর পার্কিং করতে দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠের চারদিকের প্রতিটি রাস্তার মোড়ে বসানো হচ্ছে চেকপোস্ট। বঙ্গভবনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
Advertisement
এফএইচ/এমকেআর/জেআইএম