খেলাধুলা

নেপালকে ১০৭ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত নেপালকে ১০৬ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবারের বিশ্বকাপে যেভাবে লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশের করা এই রানও হয়তো জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। যদিও বাংলাদেশের বোলারদের ওপর এখন মূল দায়িত্ব, এই স্কোরটাকে ডিফেন্ড করার। 

Advertisement

পুরো ২০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়েছে ১৯.৩ ওভারে। শেষ মুহূর্তে ২টি বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকের ঘর পার করে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

বাংলাদেশ নেপালের সামনে খেই হারায় কি না, এই ভয়টাই পেয়েছিলো এ দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা।  নেপাল যেভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছে, তাতে হয়তো বাংলাদেশও বিপদে পড়তে পারে- এমন শঙ্কা ছিল।

সেন্ট ভিনসেন্টের অ্যারোনেস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তেমনটাই ঘটেছে বাংলাদেশ দলের ব্যাটারদের। নেপালি বোলিংয়েও যেন থরথর করে কাঁপছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা।

Advertisement

কোনো ব্যাটারই নেপালের বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং করতে পারলো না। ৫২ রানে ৫ উইকেট এবং ৬১ রানে ৬ এবং ৬৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা।  

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সমপাল কামির হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২ বল খেলে ১০ রান করে ফিরে যান লিটন দাস।  টানা ব্যর্থতার ভেতর দিয়েই যাচ্ছেন এই দুই ব্যাটার। তাদের ব্যর্থতা বাংলাদেশের জন্য ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী।

সাকিব আল হাসান ১৭ রানে, তাওহিদ হৃদয় ৯ রানে আউট হয়ে যান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন মাত্র ১৩ রান। 

তানজিম হাসান সাকিব ৫ বল খেলে করেন মাত্র ৩ রান। রিশাদ হোসেন ৭ বল খেলে করেন ১৩ রান। ১টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ রান করে রানআউট হয়ে যান।

Advertisement

আইএইচএস/