জাতীয়

দর্শনার্থীর অপেক্ষায় চিড়িয়াখানা, প্রস্তুত ঢাকার সব বিনোদনকেন্দ্র

ঈদ মানেই খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। সেই খুশি ও আনন্দের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় ভ্রমণ আর ঘুরাঘুরি। ঈদ ঘিরে প্রিয়জনদের নিয়ে অনেকেই ঘুরতে যান বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে। রাজধানীর অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র জাতীয় চিড়িয়াখানা। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঈদে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঢাকার অন্য বিনোদনকেন্দ্রগুলোও ঈদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

Advertisement

সোমবার (১৭ জুন) ত্যাগের মহিমায় সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন।

ঈদুল আজহায় মূলত ঈদের দিনটি পশু কোরবানির ব্যস্ততাতেই কেটে যায়। বিনোদন, ঘুরাঘুরি বা ভ্রমণের বিষয়গুলো শুরু হয় ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে। সে হিসেবে এবার ঢাকাসহ দেশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে আগামী মঙ্গলবার থেকে দর্শনার্থীদের চাপ বাড়তে পারে। যা চলবে ঈদের পঞ্চম-ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত।

রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ হওয়ার পরই ধীরে ধীরে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন মানুষেরা। এ সময়টাতে ফাঁকা শহরে হাঁটাচলায়ও থাকে বাড়তি স্বস্তি। অলিগলি থেকে শুরু করে বড় বড় সড়কগুলোও থাকে প্রায় ফাঁকা। ফলে ঢাকার ভেতরে চলাফেরায় এ কদিন যানজটের ভোগান্তিও পোহাতে হয় না।

Advertisement

আরও পড়ুনচিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ঢলপার্ক সংস্কারে ৫ বছর পার, এখনো ঘুরতে গিয়ে ফিরে যায় শিশু-কিশোররা

ঈদ ঘিরে ঢাকায় প্রতি বছরই জাতীয় চিড়িয়াখানা, হাতিরঝিল, রমনা পার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান, আহসান মঞ্জিল, নামিদামি বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও সিনেমা হলগুলোসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দর্শনার্থীদের ঈদ আনন্দ নির্বিঘ্ন করতে নগরীর প্রতিটি বিনোদন স্পট প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব বিনোদনকেন্দ্র ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারিও থাকবে।

ঈদে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের তুফান’সহ একাধিক নতুন বাংলা ও হলিউড সিনেমা নিয়ে আসছে স্টার সিনেপ্লেক্স। তাদের ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, স্টার সিনেপ্লেক্সে ঈদের দিন আগন্তুক, রিভেঞ্জ, ডার্ক ওয়ার্ল্ড চলচ্চিত্রগুলো দেখানো পাবে। ঈদের দ্বিতীয় দিন ভিড় বাড়বে চন্দ্রিমা উদ্যান ও রমনা পার্কে।

সরেজমিনে রোববার দুপুরে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, ভেতরে রুটিন মাফিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। সৌন্দর্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে বাইরের পার্কিং ও টিকিট কাউন্টারসহ কিছু জায়গায় সংস্কারকাজও করা হচ্ছে।

Advertisement

আরও পড়ুনআহসান মঞ্জিলে দর্শনার্থীদের ভিড়চিরচেনা ভিড় নেই চন্দ্রিমা উদ্যানে

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চিড়িয়াখানা জমজমাট হয়ে উঠবে বলে আশা করছি। যা মঙ্গলবার শুরু হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত চলবে। এ চার-পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঈদ ঘিরে চিড়িয়াখানার সার্বিক প্রস্তুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকিট কাউন্টারগুলোতে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে প্রাণীদের সুস্থ রাখতে বিভিন্ন রকমের টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ঈদ-পরবর্তী চার-পাঁচ দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকবে চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণ।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম