ধর্ম

মাসিক অবস্থায় নারীদের তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে কি?

৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। জিলহজের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন মোট ২৩ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর এ তাকবির পড়তে হয়। এ বছর ১৪৪৫ হিজরির ৯ জিলহজ মোতাবেক ১৬ জুন ২০২৪ রোববার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করতে হবে। ১৩ জিলহজ (২০ জুন ২০২৪) বৃহস্পতিবার আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।

Advertisement

তাকবিরে তাশরিক:

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’

Advertisement

অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’

কোনো নারী এ সময় মাসিক অবস্থায় থাকলে তার ওপর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব নয়। যেহেতু সে এ সময় নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকে, নামাজ তার ওপর আবশ্যক থাকে না, তাই নামাজ পরবর্তী তাকবির পড়াও তার ওপর আবশ্যক হবে না।

তবে মাসিক অবস্থায় সাধারণ দোয়া ও জিকির করা যেমন নারীদের জন্য বৈধ থাকে, এ সময় নারীরা তাকবিরে তাশরিকও পাঠ করতে পারবেন। অন্যান্য জিকিরও করতে পারবেন। মাসিক অবস্থায় থাকলেও এ দিনগুলোতে উত্তম আমল হিসেবে তাকবিরে তাশরিক ও অন্যান্য জিকির করা উচিত। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍআল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। (সুরা বাকারা: ২০৩)

Advertisement

কোরআনের ব্যখ্যাকারদের মতে এ আয়াতে ‘নির্দিষ্ট দিন’ বলে তাশরিকের দিনগুলো অর্থাৎ জিলহজের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ বোঝানো হয়েছে। এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজসমূহের পরবর্তী তাকবির ছাড়া অন্যান্য সময়ও বেশি বেশি জিকির করা উত্তম।

ওএফএফ/জেআইএম