দেশজুড়ে

সাড়া নেই পর্যটকদের, এখনো বুকিং হয়নি প্রায় ৮০ ভাগ হোটেল

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। সাপ্তাহিক ছুটি, সরকারি বন্ধের দিন এবং বছরে বড় বড় উৎসবগুলোতে অগ্রিম বুকিংয়ের হিড়িক পড়ে এ সৈকতে ভ্রমণ পিপাসুদের। তবে এবার ভিন্ন চিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী ছুটিতে। এর আগে বিভিন্ন উৎসবের টানা ছুটির দু’এক দিন আগেও যেখানে এলাকার স্থানীয় হোটেলগুলো ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বুকিং হতো সেখানে আজ (রোববার) পর্যন্ত মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। এখনো বুকিং হয়নি প্রায় ৮০ ভাগ হোটেল।

Advertisement

প্রতিটি বন্ধের পূর্বে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা দেওয়া হোটেল-রিসোর্ট, রেস্টুরেন্ট, শুঁটকি, বার্মিজ পণ্যসামগ্রী বিক্রেতা, সৈকতে ফিসফ্রাই, ছাতা বেঞ্চ, ফটোগ্রাফার, ট্যুর গাইডসহ প্রায় ১৬টি পেশার ৫ হাজার জনশক্তি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঈদ পরবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পর্যটকদের চাপ সামলানোর জন্য। অতিরিক্ত গরম এবং দেশের অর্থনৈতিক মন্দায় অনেকে শঙ্কিত যে কতটা ভিড় হয় এ সৈকতে তা নিয়ে।

হোটেল খান প্যালেসের পরিচালক মো. সাক্কুর জানান, প্রতি ঈদ মৌসুমের এক-দুই দিন আগ মূহুর্তে আমাদের হোটেলগুলো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং হয়ে যায়, অথচ আজ এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। একদিকে গরম, অন্যদিকে কয়দিন আগে বন্যা যাওয়ায় হয়তো বুকিং কম হচ্ছে। তবে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল অ্যামপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানান, বর্তমানে হোটেল-মোটেলগুলো ধুয়ে মুছে একবারে পরিপাটি করা হয়েছে। বর্তমানে তেমন কোনো পর্যটক না থাকায় সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা। পুরো এলাকা ঝকঝক করছে। ঈদের পর যদি কাঙ্খিত পর্যটক না হয় তাহলে বড় লোকসান হয়ে যাবে।

Advertisement

কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, প্রতি বছর কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের যে পরিমাণ অগ্রিম ফোন আমরা পেয়ে থাকি, সে পরিমাণ ফোন এ বছর আমরা পাচ্ছি না। তবে আমাদের অনেকগুলো গাইড রেডি রয়েছে, সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আশা করি ভালো পর্যটক পাবো।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির আহ্বায়ক মো. নুর কুতুবুল আলম বলেন, ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে কুয়াকাটায় বাড়তি পর্যটক আসবেন তা মাথায় রেখে আমরা সার্বিকভাবে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আগে থেকেই বাড়তি নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও এখানে উপজেলা প্রশাসন এবং একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন যাতে কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে। প্রতি বছরই আমরা এ ধরনের অনুষ্ঠান করে আসছি। আমরা প্রতি বছরের থেকে এ বছর বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআইএইচএস/এমএস

Advertisement