আন্তর্জাতিক

ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো ১১ জনের বাড়ি

ভারতের যেসব রাজ্যে গরু জবাই নিষিদ্ধ, তার মধ্যে মধ্য প্রদেশ অন্যতম। এরপরও সেখানে লুকিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেন কেউ কেউ। সম্প্রতি রাজ্যটিতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ার পর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১১ জনের বাড়ি। অবৈধ গরুর মাংসের ব্যবসা বন্ধের প্রচেষ্টা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

মণ্ডলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা শনিবার (১৫ জুন) বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে জানান, নাইনপুরের ভাইনওয়াহি এলাকায় প্রচুর সংখ্যক গরু জবাই করার জন্য আটকে রাখা হয়েছে, এমন একটি তথ্য পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে ছুটে যায়।

আরও পড়ুন>>

গরু-মহিষের মাংস থেকে ‘হালাল’ শব্দ বাদ দিল ভারত ভারতে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার দাবি আমেরিকার গরু আমিষ খায়, তাই দুধ আমদানি বন্ধ

তিনি বলেন, আমরা অভিযুক্তদের বাড়ির উঠানে ১৫০টি গরু বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাই। এছাড়া, অভিযুক্ত ১১ জনের বাড়ির রেফ্রিজারেটর থেকে গরুর মাংস উদ্ধার করা হয়। আমরা পশুর চর্বি, চামড়া এবং হাড়ও পেয়েছি, যা একটি ঘরে মজুত করা ছিল।

Advertisement

এসপি বলেন, স্থানীয় সরকারি পশুচিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন, জব্দ করা মাংসগুলো গরুর। আমরা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হায়দ্রাবাদে নমুনাও পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, গরু এবং গরুর মাংস উদ্ধারের পরে শুক্রবার রাতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকি ১০ জনের খোঁজ চলছে।

আরও পড়ুন>>

ভারতে গরুর মাংস বহনের সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৩ আসামে মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে গরুর মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ ‘বিজেপি সমর্থকরাই গরুর মাংস রপ্তানি করে বেশি’

অভিযুক্ত ১১ জনের বাড়ি সরকারি জমিতে হওয়ায় সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সবাই মুসলিম।

এসপি বলেন, ভৈনসওয়াহি এলাকাটি বেশ কিছুদিন ধরে গরু চোরাচালানের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। উদ্ধার গরুগুলোকে একটি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

২০০৪ সালে গরু জবাই নিষিদ্ধ করে মধ্য প্রদেশ। এই আইন অমান্য করলে সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে সেখানে।

সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/