অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া তো আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেও তাদের কিছু যেতো আসতো না। কিন্তু এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডের সুপার এইট ভাগ্য।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে কোনো ব্যবধানে জিতলেই ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে নাম লেখাতো স্কটল্যান্ড, বিদায় হয়ে যেতো ইংল্যান্ডের। সেটি হয়নি। স্বপ্ন ভেঙেছে স্কটিশদের। অস্ট্রেলিয়ার ৫ উইকেটের জয়ে সুপার এইট নিশ্চিত হয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের।
গ্রুপপর্বে চার ম্যাচের চারটিই জিতে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট সমান ৫। তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় ইংলিশরা গেছে পরের পর্বে।
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্কটিশরা। জবাবে শেষ ৫ ওভারে ৬০ রান লাগলে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ট্রাভিস হেড আর মার্কাস স্টয়নিসের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়া ঠিকই ম্যাচ বের করে নিয়েছে।
Advertisement
৬০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর হেড আর স্টয়নিস চতুর্থ উইকেটে ৪৪ বলে ৮০ রান তুলে দেন। হেড ৪৯ বলে ৫ চার আর ৪ ছক্কায় খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস। ২৫ বলে ফিফটি করেন স্টয়নিস। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি।
তুলির শেষ আঁচড় দেন টিম ডেভিড। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন তিনি, ১৪ বলে অপরাজিত থাকেন ২৪ রানে। ২ বল হাতে রেখে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।
স্কটল্যান্ডের মার্ক ওয়াট আর সাফইয়ান শরিফ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিএ অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার জর্জ মুনসে ২৩ বলে করেন ৩৫ রান, রিচি বেরিংটন ৩১ বলে অপরাজিত ৪২।
Advertisement
তবে স্কটল্যান্ড বড় পুঁজি পায় মূলত ব্রেন্ডন ম্যাকমুলানের ঝোড়ো ফিফটিতে। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ২ চার আর ৬ ছক্কায় খেলেন ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪৪ রান।
এমএমআর/এমএস