পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলো ভরে উঠেছে গরু-ছাগলে। এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে কোরবানির পশু। বিক্রিও জমে উঠেছে। বাজারে চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর। তবে দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে।
Advertisement
শনিবার (১৫ জুন) সকালে রাজধানীর বালুর মাঠ, শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ মাঠ ও মেরাদিয়া বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই কোরবানির পশু বাজারে এসেছে। তবে বেচাবিক্রি পুরোদমে শুরু হয়েছে গতকাল, শুক্রবার থেকে। এখন বাজারে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বড় গরুও বিক্রি চলছে। তবে ছোট গরুর তুলনায় সেটি কম। এদিকে বেচা-বিক্রি চললেও দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতারা কম দামেই কিনতে চাচ্ছেন। আর ক্রেতারা বলছেন, ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতা।
এদিন কথা হয় কুষ্টিয়ার ব্যাপারী সাঈদ হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে গরুর চাহিদা বেড়েছে। তবে খরচের তুলনায় দাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে না।
Advertisement
একই কথা জানান জামালপুরের গরুর ব্যাপারী আজমাউন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এবার গোখাদ্যের দাম বেশি ছিল। গরু লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাচ্ছি না। বড় গরুর দাম আরও কম দিতে চাচ্ছেন ক্রেতারা।
তবে বিক্রেতার দাবির সঙ্গে একমত নন ক্রেতারা। এ বিষয়ে কথা হয় শাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এবার ছোট গরুর দাম খুব বেশি চাচ্ছে বিক্রেতারা। অন্যবারের তুলায় সেটা অনেক বেশি, অথচ বড় গরুর দাম কম। ছোট-মাঝারির চাহিদা বাড়ায় তারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।
এবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এলাকায় বসেছে ২০টি কোরবানির পশুর হাট। এরমধ্যে দক্ষিণ সিটিতে সারুলিয়া স্থায়ী হাটসহ ১১টি এবং উত্তর সিটিতে গাবতলীর স্থায়ী হাটসহ ৯টি। হাটে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর টহল। এছাড়া পশুর হাটে স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদাররা কাজ করছেন।
ইএআর/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement