কোরবানি ঈদের বাকি মাত্র একদিন। শেষ মুহূর্তে হাটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ছোট আকারের, বিশেষ করে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে বড় গরুর ক্রেতা হাটে নেই বলা চলে।
Advertisement
শনিবার গাবতলী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রধান হাসিল ঘরের পাশেই সারি সারি কয়েকটি স্থানে বড় গরু রাখা হয়েছে। তবে বড় গরুর আশপাশে নেই ক্রেতা সমাগম।
মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে চারটি বড় গরু হাটে তুলেছেন লিটন গাজী। চারটি গরুরই দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ থকে ৬ লাখ টাকা করে। এসব গরু থেকে ১৬-১৮ মণ মাংস মিলবে।
Advertisement
খামারি লিটন গাজী বলেন, চারটা গরুর জন্য ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছি। এছাড়া ১৪ হাজার টাকা ইজারা দিয়েছি। সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু কেউ দামই বলে না। আবারও মনে হয় ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে গরু বাড়ি নিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খাবারের যে দাম, তিন বছরে যা খরচ করেছি, কাস্টমার অর্ধেক দামও বলে না।
লিটন গাজীর স্থান থেকে ৫ মিনিট হেঁটেই দেখা গেলো মন খারাপ করে বসে আছেন শাখাওয়াত হোসেন। গাজীপুর থেকে ২৫টি গরু নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা।
শাখাওয়াত বলেন, তিনদিন হয়ে গেলো, কেউ দাম বলে না।
Advertisement
বসুন্ধরা এলাকা থেকে এসেছেন শাহিন মিয়া। তিনি বলেন, ১ লাখ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দাম দিয়ে দুটো দেশি গরু কিনতে চাই। দেশি, মাঝারি গরু আমার সব সময় পছন্দের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শরিফ ব্যাপারী, হাটে ৫৫টি মাঝারি গরু তুলেছেন। গরুপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকা লাভে ৩০টি গরু বেচাকেনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেলা যত গড়াচ্ছে, হাটে ক্রেতা সমাগমও তত বেড়েছে।
এমওএস/এমএইচআর/জেআইএম