ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় কমেছে টোল আদায়। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য সময় মালবাহী পরিবহন বেশি চলাচল করায় যানবাহনের সংখ্যা অনুযায়ী বেশি টোল আদায় হতো। এখন মালবাহী গাড়ি কমে যাওয়ায় টোল আদায়ের পরিমাণও কমেছে।
Advertisement
১৩ জুন দিনগত রাত ১২টা থেকে ১৪ জুন দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই সেতু দিয়ে সর্বমোট ৩২ হাজার ৭১৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৬ টাকা।
বিষয়টি শনিবার (১৫ জুন) সকালে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বিথী। এদিকে গত দুদিন ধরেই এ পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি বেড়েছে। এর আগে কোনো যানজট না থাকলেও শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আজ সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মেঘনাঘাট টোলপ্লাজায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টোলপ্লাজার ১২টি বুথ দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে মেঘনা সেতু। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে।
Advertisement
টোল আদায়ের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বিথী বলেন, যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কম টোল আদায় হয়েছে। কারণ অন্য সময় মালবাহী পরিবহন বেশি চলাচল করায় যানবাহনের সংখ্যা অনুযায়ী বেশি টোল আদায় হতো।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৬ টাকা আদায় করা হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সেতু দিয়ে ২৭ হাজার ১৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে মোট টোল আদায় হয় ৬৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ টাকা।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমএইচআর/এএসএম
Advertisement