খেলাধুলা

উগান্ডাকে পেয়ে ঝাল মিটিয়ে নিলো নিউজিল্যান্ড

 

আফগানিস্তানের কাছে ৭৫ রানে অলআউট, এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও ১৩ রানের ব্যবধানে পরাজয়ের পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো, হয়তো এবার আর সুপার এইটে খেলা হচ্ছে না কিউইদের।

Advertisement

সর্বশেষ আফগানিস্তান পাপুয়া নিউগিনিকে হারানো এবং উগান্ডাকে সর্বনিম্ন রানের (৩৯) লজ্জায় যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডোবালো, তখন পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে গেছে, কিউইদের বিদায় প্রথম রাউন্ড থেকেই।

শেষ দুই ম্যাচ তাই কেন উইলিয়ামসনদের জন্য নিয়ম রক্ষার। যেখানে তাদের দুই প্রতিপক্ষ উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনি। প্রথম দুই ম্যাচে বাজেভাবে পরাজয়ের কারণে তৃতীয় ম্যাচে এসে উগান্ডাকে পেয়ে যেন নিজেদের ঝাল ভালোভাবে মিটিয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে উগান্ডাকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে মাত্র ৪০ রানে অলআউট করে দেয় কিউই বোলাররা। এরপর নিজেরা সেই রান তুলে নিয়েছে মাত্র ৫.২ ওভারে (৩২ বলে)। ৮৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

Advertisement

টস জিতে উগান্ডাকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই টেন্ট বোল্ট এবং টিম সাউদির তোপে পড়ে উইকেট হারাতে থাকে উগান্ডা। ২ রানে ৩ উইকেট, ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় তারা। এভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে ৪০ রানের বেশি করতে পারলো না আফ্রিকার দেশটি।

তবে তারা খেলেছে ১৮.৪ ওভার। অর্থ্যাৎ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উগান্ডার ক্রিকেটাররা রান তুলেছে ওভারপ্রতি ২.১৪ হারে। সর্বোচ্চ ১১ রান করেন কেনেথ ওয়াইসা। বাকিদের কেউ আর দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ রান করেন ফ্রেড অ্যাখেলাম।

টিম সাউদি ৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল সান্তনার এবং ইস শোধি নেন ২টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।

জবাব দিতে নেমে একটি উইকেট হারাতে হয় নিউজিল্যান্ডকেও। ১৭ বলে ৯ রান করে আউট হন ফিন অ্যালেন। তবে ডেভন কনওয়ে ১৫ বলে ২২ এবং রাচির রাবিন্দ্রা ১ বলে ১ রান করে কিউজিল্যন্ডের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। রিয়াজাত আলি শাহ নেন ১টি উইকেট।

Advertisement

আইএইচএস/এএসএম