দেশজুড়ে

কক্সবাজার থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন গেলো জাহাজ

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলির ঘটনায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সংকটে পড়েছেন দ্বীপবাসী। এ অবস্থায় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ‘এমভি বারো আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজ।

Advertisement

শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসময় জাহাজটিতে দ্বীপের দেড় শতাধিক লোকজনও ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। পণ্যসামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকা পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে ফিরবেন বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন:

Advertisement

টেকনাফে নৌ যোগাযোগ বন্ধ, সেন্টমার্টিনে ‘খাদ্য সংকট’ ঝুঁকি নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরলেন ২ শতাধিক মানুষ

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এসময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক ব্যক্তি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি ট্রলারে করে লোকজন সেন্টমার্টিন যান। সেখান থেকে অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি টেকনাফে ফিরে আসেন।

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া ঘোলারচর পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে একাধিকবার গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এএসএম

Advertisement