পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী এলাকা সিকিম। সেখানে গত বছরের ভারী বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির স্মৃতি এখনো ফিকে হয়নি। সিকিমের সেই ভয়াবহ বৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় বর্ষার পানিতে ভেসে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।
Advertisement
পুরোনো স্মৃতিকে মনে করিয়ে ফের সিকিমে ভারী বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানির স্তর বাড়লো। ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। এতে আতঙ্কে তিস্তা নদীর পারে বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। চলতি বর্ষা মৌসুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন>
সিকিমে ভারী বৃষ্টি-ভূমিধস, আটকা পড়েছেন পর্যটকরা কার্গো জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো হুথিনদীর পানি বইছে প্রবল বেগে। ভাঙছে পাড়। ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চল কালিম্পং থেকে দার্জিলিং যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে।
Advertisement
লাগাতার বৃষ্টির জন্য বিপর্যয়ের ভ্রুকুটি উত্তরবঙ্গের জেলাজুড়েই। আর গোটা দক্ষিণবঙ্গ অর্থাৎ কলকাতাসহ নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, জেলাগুলো ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এরই মধ্যে এই সব জেলাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
চরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার দাপট চলবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমানসহ বেশ কিছু জেলায়।
তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার (১৪ জুন) দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ও রোববার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস ঘোরাফেরা করবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস থাকবে।
ডিডি /এমএসএম
Advertisement