খেলাধুলা

বিয়ের পরই তামিমের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি, জানালেন সাকিব

সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল-তর্কসাপেক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা দুই তারকা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা জাতীয় দলকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। শুধু মাঠে নয়, একটা সময় মাঠের বাইরেও প্রাণের বন্ধু ছিলেন দুজন।

Advertisement

হঠাৎ গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সামনে চলে আসে এই দুই তারকার দ্বন্দ্বের খবর। এরপর ঘটে গেছে একটার পর একটা ঘটনা।

অনেকেই মনে করেন, সাকিব অধিনায়ক হওয়াতেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তামিমের। বিশ্বকাপের আগে তামিমের ফেসবুক লাইভ এবং সাকিবের একটি বেসরকারি টিভির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে দুজনের সম্পর্কবনতির বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে।

কী নিয়ে সম্পর্ক নষ্ট হলো, এই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন প্রকাশ্যে দুজনের দ্বন্দ্ব নিয়ে কথা বলার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় বলে মনে করেন সাকিব।

Advertisement

ওটিটি প্লাটফর্মের এক ডকুমেন্টারিতে সাকিব ভেতরের অনেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানেই তিনি জানান, তামিমের সঙ্গে দূরত্ব বাড়া শুরু হয় মূলত বিয়ের পর থেকে।

সাকিব ও তামিমের মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে, সেই কথা সবার প্রথম জনসমক্ষে আনেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানিয়েছিলেন, কথা বন্ধ রয়েছে দুই তারকার।

এ সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘এই বিষয়টি (দ্বন্দ্ব) সামনে চলে আসে পাপন ভাই যখন এটা নিয়ে কথা বলেন। এটা সম্পর্কে অনেক সমস্যা তৈরি করে এবং এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি কিছু লোক এটাকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিল। এটাকে তারা মেইন পয়েন্ট বানিয়ে ফেলে ক্রিকেটকে না বানিয়ে।’

সাকিব জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে একটা সময় যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল তা এখন অতীত। অতীতে তারা সবসময় একসঙ্গে থাকতেন। তবে পরের দিকে চিত্র বদলে যায়।

Advertisement

সাকিব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমাদের তেমন কথা হতো না। কথা হতো না এটা একদম ভুল কথা। হ্যাঁ, আমাদের যে এক সময় যে সম্পর্কটা ছিল, সারাক্ষণ একসঙ্গে থাকতাম, ওই সম্পর্কটা অনেক দিন থেকেই ছিল না। আর এটা স্বাভাবিক। আমি বিয়ে করি, সে বিয়ে করে। দুজনের আলাদা বাসা। তখন আলাদা জায়গায় চলে যাওয়া, আলাদা জায়গায় থাকা। এভাবে (যোগাযোগের) সময়টা অনেক কমে যায়। এক সময় একই বিল্ডিংয়ে ওপর নিচ তলায় থাকতাম। পরে যখন আলাদা হয়, স্বাভাবিকভাবেই ওই ঘনিষ্ঠতা কমতে থাকে। মানুষের আলাদা পারিবারিক জীবনে ব্যস্ততা থাকে। ব্যস্ততাগুলোর সাথে সাথে সময়টা পরিবর্তন হয়ে যায়।’

‘তারপরের দিকে এমন হতো, মাঠে গেলে আমরা একে অপরের সঙ্গে দরকারে কথা বলতাম। আমার মনে হয় না, আমাদের মধ্যে এর বাইরে অনেক বেশি কথা বলার প্রয়োজন ছিল।’

তামিমের সঙ্গে এই সম্পর্কটা ঠিক করতে চান কিনা ভবিষ্যতে? সাকিবের উত্তর, ‘এখানে ঠিক ভালোর কিছু নেই। আমরা যতদিন খেলেছি একসাথে, ড্রেসিংরুম যতদিন শেয়ার করেছি, দলের ক্ষতি হোক বা ক্ষতি হবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে হয় না। কথা বলি আর না বলি, আমরা (দলের জন্য) অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। মাঠের ভেতরে বা ড্রেসিংরুমে কোনও ধরনের সমস্যা ছিল না।’

এমএমআর/জেআইএম