সারাদেশে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে ঢাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে কোরবানির পশুর হাটে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ বছর ঢাকায় ১৯টি হাটে এবং সারাদেশে ১ হাজার ৮২টি স্থায়ী ও ২ হাজার ১৬টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে মোট ১ হাজার ৭৫২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। ক্রেতাদের সুস্থ পশু ক্রয়ে এবং হাটে আগত পশুর স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক পরামর্শ দেবে এ টিম। হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হটলাইন ১৬৩৫৮ চালু রয়েছে।
এছাড়া চামড়ার মান নিশ্চিতে কোরবানির পশুর সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ বিষয়ে ৩১ হাজার ৭৯৯ জন পেশাদার ও অপেশাদার মাংস প্রক্রিয়াকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ সমুন্নত রেখে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি এবং কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পোস্টার, লিফলেট, উঠান বৈঠক, ঠিভি টক-শো, রেডিও অনুষ্ঠান চলমান রয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হবে। হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
Advertisement
বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল গ্রহণ করতে পারবে না। মহাসড়কে বা যেখানে হাট বসালে যান চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এমন কিছু যাতে না হয় এবং সড়কে বা সেতুতে কোরবানির পশুবাহী গাড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হবে, যাতে রাস্তায় পশু আটকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না হয়।
সব গবাদিপশু সড়কপথ, রেলপথ এবং নৌপথে পরিবহনের সময় পশু ও পশু বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কোরবানির পশুবাহী ট্রাক ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এনএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম
Advertisement