সারাদেশে বর্তমানে ইটভাটা আছে ৬ হাজার ৮৭৬টি। এর মধ্যে বেশ কিছু ভাটা অবৈধ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এসব ভাটার বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩৩৮টি অভিযানের মাধ্যমে ৪ হাজার ৪৩৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ৯৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ ১ হাজার ১৮০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য ননী গোপালের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এসব তথ্য জানান। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়। যেখানে পরিবেশ দূষণ বোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অবৈধ, অনুমোদনহীন ও পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটা বন্ধে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ওই অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনার আওতায় ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ বায়ুদূষণের অন্যান্য উৎস চিহ্নিত করে যথাযথ কার্যক্রম নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি জানান, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় গত ৩০ মে পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৬৮টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৫৭৯টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৫ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৪৯টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমে অবৈধ ইটভাটাকে গুরুত্ব দিয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম