শাক বলুন বা পাতা, উপকারিতার কারণেই থানকুনি একটি পরিচিত নাম। অঞ্চলভেদে এটি টেয়া, মানকি, তিতুরা, থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি, থুলকুড়ি, মানামানি, ধূলাবেগুন, আদাগুনগুনি নামে পরিচিত। ইংরেজি নাম Indian Pennywort। স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে। চলুন জেনে নিই, থানকুনি পাতার কিছু উপকারী দিক-১. বেগুন/পেঁপের সাথে থানকুনি পাতা মিশিয়ে শুক্ত রান্না করে প্রতিদিন ১ মাস খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।২. থানকুনি পাতার রস ১ চামচ ও শিউলি পাতার রস ১ চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর সারে।৩. অল্প পরিমাণ আমগাছের ছাল, আনারসের কচি পাতা ১টি, কাঁচা হলুদের রস, ৪/৫ টি থানকুনি গাছ শিকড়সহ ভালো করে ধুয়ে একত্রে বেটে রস করে খালি পেটে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এটা আরো বেশি কার্যকর।৪. আধা কেজি দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি ও ১৭৫ গ্রাম থানকুনি পাতার রস একত্রে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ১ সপ্তাহ খেলে গ্যাস্ট্রিক ভালো হয়।৫. ২ চামচ থানকুনির রস সামান্য চিনিসহ খেলে সঙ্গে সঙ্গে খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়। ১ সপ্তাহ খেলে পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে।৬. প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ চা চামচ থানকুনি পাতার রস ও ১ চা চামচ মধু/ মিশিয়ে ৭ দিন খেলে রক্ত দূষণ ভালো হয়।৭. যেসব বাচ্চা কথা বলতে দেরি করে অথবা অস্পষ্ট, সে ক্ষেত্রে ১ চামচ করে থানকুনি পাতার রস গরম করে ঠাণ্ডা হলে ২০/২৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে ঠাণ্ডা দুধের সাথে কিছুদিন খাওয়ালে সমস্যা সেরে যায়।৮. প্রতিদিন সকালে ৫/৭ টি থানকুনি পাতা চিবিয়ে ৭ দিন খেলে আমাশয় ভালো হয়। থানকুনি পাতা বেটে পাতার রসের সাথে চিনি মিশিয়ে দুই চামচ দিনে দুই বার খেলে আমাশয় ভালো হয়।৯. থানকুনি পাতা বেটে গরম ভাতের সাথে খেলে পেটব্যথা ভালো হয়।১০. প্রতিদিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।সহজলভ্য এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ বলে সুস্বাস্থ্যের জন্য থানকুনি বেশ সহায়ক। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখুন থানকুনি পাতা। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন, সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।এবিএস
Advertisement