কোষ্ঠকাঠিন্য বেশ পরিচিত একটি রোগ। এটি বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। তার মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণ, মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, অনিদ্রা, কায়িক শ্রম না করা, যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া, পানীয় কম গ্রহণ করা, ভাজাপোড়া খাবার বেশি খাওয়া কিংবা চা ও কফি বেশি পান করা অন্যতম।
Advertisement
এক-দুই দিন পর পর মলত্যাগের বেগ হওয়া, শুষ্ক ও কঠিন মলত্যাগকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে। এটি বেশ বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়কও বটে। কোনো বিশেষ রোগবশত না হলে এটি খাবারের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে যেসব খাবার খাওয়া যেতে পারে
শাক-সবজি শাক-সবজিতে প্রচুর আঁশ থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যেমন সবজির মাঝে লাউ, ঝিঙা, পেঁপে। এ ছাড়া শাকের মাঝে কলমিশাক, পালংশাক খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সালাদ হিসেবে শসা ও টমেটো গ্রহণ করা যেতে পারে।
Advertisement
ডাল মশুর ও মটরশুঁটি ডালে ফাইবার বা আঁশ বেশি থাকে। ১০০ গ্রাম রান্না করা ডাল দৈনিক প্রয়োজনের প্রায় ২৬% আঁশ জোগাতে থাকে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
আঁশযুক্ত ফল নাশপাতিতে আঁশের পরিমাণ প্রায় ২২% এবং পানির পরিমাণ বেশি। যা হজমে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আঙুরও এটি আঁশযুক্ত ফল এবং পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া তরমুজে প্রচুর আঁশ আছে এবং এর ৯২% পানি। যা পেট ঠান্ডা রাখে, হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
শুকনো ফল শুকনো ফলের মধ্যে খেঁজুর ও কিশমিশে আঁশ রয়েছে। এর প্রতিকাপে প্রায় ৭ গ্রাম আঁশ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
Advertisement
টক ফল কমলা ও জাম্বুরা খাওয়া যেতে পারে। এতে ফাইবার এবং পেকটিন থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
চিয়া সিড এতে প্রচুর আঁশ থাকে। যা অন্ত্রে জেল তৈরি করে এবং মল নরম করতে সহায়তা করে।
ওটমিল ওটমিল আঁশযুক্ত খাবার। ১/৩ কাপ বা ৩১ গ্রাম ওটমিলে প্রায় ৪.৮ গ্রাম আঁশ পাওয়া যেতে পারে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
বাদাম একবারে খাওয়া ২০-২৩টি বাদামে প্রায় ৩.৫ গ্রাম আঁশ থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে—১. চিপস, ফাস্ট ফুড২. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ৩. গরুর মাংস, খাসির মাংস ৪. হিমায়িত খাবার এবং স্ন্যাকস খাবার৫. প্রক্রিয়াজাত খাবার ৬. তেলযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার।
এসইউ/জিকেএস