রাজনীতি

প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন: রিজভী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

Advertisement

২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ ১৫ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন বলে সংসদে যে তথ্য প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, এখন নাকি তাদের (পলাতকদের) গ্রেফতারের চেষ্টাও চালাবেন। বোমা হামলায় তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্য নেতাদের ফরমায়েশি রায়ে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটি যে সাজানো মামলায় ফরমায়েশি সাজা তা আজ সর্বজনবিদিত।

তিনি বলেন, অহেতুক ক্রোধ ডামি সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। ভারত থেকে ফিরে আসতেই মনে হচ্ছে তিনি শক্তি সঞ্চয় করে এসেছেন। তিনি এখন যে শ্লাঘা বোধ করছেন তার মধ্যে সঞ্চিত আছে ভারতের আশ্রয়।

আরও পড়ুন

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্টের পরিকল্পনা

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য প্রায়শই শোনা যায়। যখন তিনি সম্পূর্ণরূপে দিশেহারা হয়ে পড়েন তখনই তার ক্রোধ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান ডামি সরকারের ডামি বাজেটে সাধারণ করদাতা ও উদ্যোক্তাদের সুবিধা দেওয়া হয়নি। গরিবদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বাড়ানো। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এই সরকার লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন

Advertisement

তারেকসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে

রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের অর্থনীতির কাঠামো ভেঙে ফেলেছে। তাদের নানা অঙ্গীকার আজও সূর্যের আলো দেখেনি। ডলার সংকট, জাতীয় রিজার্ভ তলানিতে চলে গেছে। ব্যাংকগুলো খালি করে আইন বহির্ভূতভাবে ক্ষমতাঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। যারা একদিন নিঃস্ব ও মূষিক ছিলেন তারা আজ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর সহযোগিততায় ঐরাবতে পরিণত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই—জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ক্রমাগত হুমকি কখনোই রাজনীতির ময়দান শান্ত, নিরাপদ ও সুখময় করবে না। মানুষ এ সরকারের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা করছে। এ মুক্তির আদর্শই হচ্ছে গণতন্ত্র।

কেএইচ/এমকেআর/জিকেএস