পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের আগে বৃহস্পতিবারই (১৩ জুন) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বশেষ অফিস। কাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে টানা পাঁচ দিনের ছুটি। সাপ্তাহিক ও ঈদের ছুটি মিলিয়ে আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
Advertisement
ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে স্বাভাবিক ছিল সচিবালয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি দেখা গেছে।
সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, অন্য দিনের মতোই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন। উপস্থিতি স্বাভাবিক।
সচিবালয়ের গাড়ি রাখার স্থানগুলোও অন্য দিনের মতো গাড়িতে পূর্ণ ছিল। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। লিফট চালকদের কর্মকর্তা ও সচিবালয়ে আসা অতিথিদের কাছ থেকে ঈদের বকশিশ আদায়ে তৎপর দেখা গেছে।
Advertisement
এক ওই দুই নম্বর গেটের মাঝখানে অতিথি অভ্যর্থনা কক্ষে অন্যান্য দিনের মতোই সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের আনাগোনা দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
যাত্রীর চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই কমলাপুরেগ্রামের বাড়িতে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে সাধারণত ঈদের ছুটিতে রেল, সড়ক ও নৌপথে অসংখ্য মানুষ রাজধানী ছাড়েন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা দূর-দূরান্তে ঈদ উদযাপন করবেন তাদের কেউ কেউ বৃহস্পতিবার অফিস করেই কর্মস্থল ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গল) সরকারি ছুটি। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেজন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। তারা ছুটি কাটাবেন ১৮ জুন পর্যন্ত।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর ঈদের আগে ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ভোগ করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অন্যদিকে ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামী ১৯ জুন থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি অফিস। ওই দিন থেকে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরএমএম/এমআরএম/জিকেএস