ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর আনন্দ মিছিলে গুলি করে কলেজছাত্র আশরাফুল রহমান ইজাজকে হত্যার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Advertisement
এসময় উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেভেন পয়েন্ট সিক্স ক্যালিবারের একটি পিস্তল। তবে ফারাবীর কাছে থাকা ওই পিস্তলের প্রকৃত মালিক কে তা এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পৃথকভাবে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে পুলিশ। হাসান আল ফারাবীকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সোমবার (১০ জুন) জেলা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, মামলার দুই নম্বর আসামি হাসান আল ফারাবীকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি জানিয়েছেন, মামলার এক নম্বর আসামি জালাল হোসেন খোকা তাকে এই অস্ত্র দিয়েছেন। কিন্তু তার দেওয়া এই তথ্য সত্য, এমন তো নয়। পুলিশ তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এর পেছনে কে কে জড়িত এবং আরও অস্ত্র আছে কি না দেখা হবে। এজন্য আসামিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়ী প্রার্থীর মিছিলে গুলি, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতারপ্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গত ৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেনের শোভনের পক্ষে কাজ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয় ও সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আশরাফুর রহমান ইজাজ। নির্বাচনের ফলাফলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বেসরকারি ফলাফলে জয় লাভ করেন। এই খবরে কলেজপাড়ায় আনন্দ মিছিল বের করেন আশরাফুর রহমান ইজাজসহ কর্মী-সমর্থকরা।
আনন্দ মিছিলটি সরকারি কলেজ হোস্টেল এলাকায় যাওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয় হঠাৎ গুলি করেন। তার ছোড়া গুলি মিছিলে থাকা আশরাফুর রহমান ইজাজের মাথায় বিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ইজাজের বাবা ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী পলাতক থাকা অবস্থায় নেত্রকোনা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জেআইএম