হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস মারাত্মক ব্যাধি হলেও তা প্রতিরোধযোগ্য। এর চিকিৎসায় নেওয়া হচ্ছে নানাবিধ উদ্যোগও। হেপাটাইটিস বি ও সি নির্মূলে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থভাবে রক্তদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় ভূমিকা পালন করছেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা। তাই নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনে স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম আরও গতিশীল ও আরও শক্তিশালীকরণ করা প্রয়োজন।
Advertisement
বুধবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা-গ্রহীতা মিলনমেলা ও বিশেষ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত। অর্থাৎ এ রোগে প্রায় ৮৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত। আর সি আক্রান্ত জনসংখ্যা প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ। সাধারণত রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস ছড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, অনিরাপদ সুঁচ বা সিরিঞ্জের ব্যবহার ইত্যাদি। একই সুঁচের মাধ্যমে বিভিন্নজনে ইনজেকশন, ড্রাগ ব্যবহারের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে। অনিরাপদ ও পেশাদার রক্তদাতার রক্ত এ কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ।
এজন্যই নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনকে গুরুত্ব দিতে হবে। হেপাটাইটিস প্রতিরোধে স্বেচ্ছা রক্তদানের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের মাধ্যমেই হেপাটাইটিস নির্মূলে ২০৩০ সালের লক্ষ্য পূরণ করা সহজ হবে।
Advertisement
কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় সেমিনার ও সম্মাননা পর্বে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে ৫০ বার ও ২৫ বারের স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা ও ক্রেস্ট দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হক। সেখানে ‘হেপাটাইটিস বি ও সি প্রতিরোধে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের গুরুত্ব ও আমাদের করণীয়’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহিনুল আলম।
এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস
Advertisement