খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। এ আন্দোলনে সমাজের নেতৃস্থানীয়দের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মসজিদের ইমাম কিংবা স্কুলের শিক্ষকরাও সমাজকে সচেতন করতে পারেন।
Advertisement
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে কক্সবাজারে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আমরা পারিবারিক পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস তৈরি ও চর্চা বাড়াতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য নির্দেশিকা তৈরি করেছি। বিভিন্ন ভাবে প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে। সকলের অংশগ্রহণ ছাড়া এটি সফল হওয়া অসম্ভব। সেকারণে নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাবার প্রস্তুত করা ও গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পলিশ চাল না খেয়ে পুষ্টিকর লাল চাল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। চাল পলিশ করতে গিয়ে চালের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আমরা নতুন আইন করেছি। সে আইনের প্রয়োগ শুরু হলে পলিশ বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে অন দ্য স্পট স্ক্রিনিং, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে এবং যারা খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মনির উদ্দিন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ও কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক টুটুল।
সায়ীদ আলমগীর/এসএএল/এনআইবি/জিকেএস